বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
জয়তু নেতাজী

 কবি এ কাহাদের কথা বলিতেছেন? এই নূতন রাগিণীর নূতন গান ঠিক এমনই অবস্থায় কাহাদের কণ্ঠে উৎসারিত হইয়াছিল?

ঘুরেছিনু তব লাগি’ কত দূর-দূরান্তরে, বিজন শ্মশানে―
রুদ্র পিপাসায়,
চিত্তে জ্বালি’ চিতানল ফিরেছিনু দিশে-দিশে জলের সন্ধানে―
বুক ফেটে যায়!

 ―এই ‘রুদ্র পিপাসা’ এবং ‘দিশে-দিশে জলের সন্ধান’—ইহাও কি অক্ষরে অক্ষরে সত্য নয়? তারপর―

শুনেছিনু রূঢ় বাণী―“জানি বটে, হৃদপিণ্ড কঠিন তাহার,
তবু হ’বি নত!
তোরা দাস, দাসীপুত্র―তুহাদের বেত্রদণ্ড, উঞ্ছ কর্ম্মভার―
প্রভুসেবা-ব্রত!

―এই শ্লোকে দাসত্বের যে নিদারুণ অপমান এবং মানবাত্মার যে লাঞ্ছনার কথা রহিয়াছে, তাহা ঐ অবস্থায় সকল জাতির পক্ষেই সত্য বটে; কিন্তু আজ ঠিক এই দিনে এ জাতির পক্ষে সে সত্য যে-ভাবে চাক্ষুষ হইয়া উঠিয়াছে―এমন কি আর কোথাও কখনো হইয়াছিল? আজাদ-হিন্দ-ফৌজের যে বিচার চলিতেছে, তাহা ত’ আর কিছুই নয়―দাস-জাতির সেই স্পর্দ্ধার শাস্তিদান; বেত্রদণ্ড, উঞ্ছ কর্ম্মভার এবং প্রভুসেবা-ব্রত ছাড়া সে যে আর কিছুই প্রত্যাশা করিবে না―করাই যে মহা অপরাধ! ইহার পর, সহসা এই জাতির মধ্যে কেমন করিয়া নব-জাগরণের