' .. ਚ ਲ দ।--বেলা অন্ন জোটে না, কি ছিলেম, কি হলেম, কোথায় এলাম भा'क लाना मिल न।" হ্যাঁ, আমাদের পণ্য করতে হবে, আমাদের কন্টের ধন যাতে আর বিদেশে উড়ে না। যায় । কিন্তু কি করে তা সম্ভব ? আমরা জানি আমাদের দেশ, কুটিরশিলেপ সমন্ধ ছিল একদিন । আর আমাদের সব চেয়ে বড় গাব ছিল বাংলার তাঁত শিলাপকে নিয়ে । কিন্তু ধ্রুবাথাগঃ বেনিয়ারা নিজেদের সাবাথ অক্ষা রাখতে আমাদের গবের তাঁতশিক্ষাপকে নিমমভাবে গলা টিপে মারতে প্ৰতিজ্ঞাবদ্ধ হল। তাঁতী ভাইদের বড়ো আঙ্গল কেটে দিয়ে চরম নিলাজতার পরিচয় দিল । সঙ্গে সঙ্গে বিলেতের কালে তৈরী কাপড়ে বাজার ছেয়ে দিল। আমরা তা দেখে আঙ্গল হারাবার ব্যথা-বেদনা ম,হতে গোলম ভ'লে। আজ আমরা সে নিলাজ কাজের প্রতিবন্ধকতা দানের ব্ৰত গ্রহণ করেছি। আপনাদের কাছে বার বার সনির্বািধ অনরোধ রাখছি বিলেতী কাপড় বজৰ্শন করে দেশীয় তাঁতের কাপড় ব্যবহার করন। কিন্তু পরিকল্পনাটিকে বান্তবরপ দিতে গেলে, দেশের মানষের বসেন্ত্রের চাহিদা পরিণ করতে গেলে চাই তাঁত শিল্পের উন্নতি সাধন। কিন্তু কি করে তার সার্থক রূপমান করা যেতে পারে ? আমরা ইতিমধ্যেই চাঁদা তুলে কয়েকটি তাঁত কিনে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় বসিয়েছি, আপনারা জানেন । কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অপ্রচুর । এর জন্য চাই প্রচুর অর্থের যোগান। কিন্তু আমরা ভেবে দেখেছি, সমবায় সমিতি গঠন করে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। পনেরো-ষোল জন সদস্য নিয়ে এক-একটি সমবায় সমিতি গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। এদের কাজ হবে তাঁতের কাপড় উৎপাদন ও তার উৎকষ সাধন। আবার সমবায় বিপনির মাধ্যমে উৎপাদিত বস্ত্র বিক্রয়ের সবেন্দোবস্তও করা যেতে পারে। আর একটি শিলে,পর কথাও আমরা ভেবেছি- মৌমাছি পালন । এটা এমন একটা শিল্প যার জন্য প্রচুর মালধন নিয়োগ করতে হয় না। বাড়ির আনাচে কানাচে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈরী কয়েকটি কাঠের বাক্স বসিয়ে রাখলেই তাতে মৌমাছি আসাযাওয়া করবে, মধ্য সঞ্চয় করবে। গ্রামে ফল ও মকুলের অভাব নেই। যা মধ্যর উৎস। অতএব অন্যান্য কাজের ফাঁকে এ শিল্প পরিচালনার মাধ্যমে অথগম সম্ভব। এ রকম আরও অনেক অর্থকরী কাজ রয়েছে, যা আমাদের এ গ্রাম্য পরিাবেশের পক্ষে বিশেষ অনাকুল। যেমন ধরন গ্রামে প্রায় অনেকের বাড়িতেই ছোট-বড় পঙ্করিণী রয়েছে, আর আছে খাল-বিল-নালা। কিন্তু এদের অধিকাংশই কচুরিপনার আশ্ৰয়স্থল। পরিত্যন্ত অবস্থায় রয়েছে । না আছে। এদের জল ব্যবহাবের উপায়, না যায় মাছের চাষ করা। কেবলমাত্র মশার জন্ম ও বাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জলের চরম শত্ৰ, কচুরীপানা ধবংস করে সেসব জলাশয়ে উন্নত প্ৰণালীতে R
পাতা:জাগরণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৯৪
অবয়ব