জন্য সমবেত চেষ্টা। (৪) শিশুমৃত্যু নিবারণের উপায় নির্ধারণ ও অবলম্বন। (৫) গ্রামে উৎকৃষ্ট পানীয় জলের ব্যবস্থা। (৬) গ্রামে গ্রামে যৌথ ঋণদান সমিতি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা ও দরিদ্র লোকদিগকে উহার উপকারিতা প্রদর্শন। (৭) দুর্ভিক্ষ, বন্যা, মড়ক প্রভৃতির সময়ে দুঃস্থদিগকে বিবিধ প্রকারে সাহায্য।
এই সময়ে রবীন্দ্রনাথ তাঁহার গঠনমূলক স্বদেশ সেবাকে রূপ দিবার জন্য আর একটি যে মহৎ প্রচেষ্টা করেন, তাহার ইতিহাস দেশবাসীর নিকট বলিতে গেলে এতদিন অজ্ঞাতই ছিল। সম্প্রতি “শনিবারের চিঠি”র শ্রীযুক্ত সজনীকান্ত দাস উহাকে বিস্মৃতির গর্ভ হইতে টানিয়া তুলিয়া দেশবাসীর নিকট প্রকাশ করিয়াছেন। এই মহৎ প্রচেষ্টায় রবীন্দ্রনাথের দক্ষিণ হস্ত ছিলেন শ্রীযুত অতুল সেন এবং তিনিই এই সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের কতকগুলি পত্র “শনিবারের চিঠি”তে প্রকাশ করিয়াছেন। অতুলবাবু পূর্বে ছিলেন বিপ্লবপন্থী এবং ঐ মতাবলম্বী একদল দৃঢ়চিত্ত কর্মী যুবকদের নেতা। কিন্তু এই সময়ে নানা কারণে তাঁহারা বিপ্লবের পথ ছাড়িয়া কোনরূপ গঠনমূলক কার্যের মধ্য দিয়া স্বদেশ সেবা করিবার জন্য উৎকণ্ঠিত হইয়াছিলেন। পূর্বেই বলিয়াছি, রবীন্দ্রনাথও এজন্য উৎকণ্ঠিত ছিলেন। যোগাযোগ ঘটিল, উভয়ের সাক্ষাৎ হইল। অতুলবাবু, স্বীয় দলবলসহ রবীন্দ্রনাথের কার্যপন্থা গ্রহণ করিলেন। রবীন্দ্রনাথও সানন্দে তাঁহাদের হস্তে সেই ভার তুলিয়া দিলেন।