রবীন্দ্রনাথের এই দৌত্য কার্যের বিবরণ লিখিতে হইলে একখানি বৃহৎ গ্রন্থই লিখিতে হয়। হয়ত ভবিষ্যতে কোন যোগ্য লেখক সেই কর্তব্য পালন করিবেন। বন্ধুবর শ্রীযুত জ্যোতিষচন্দ্র ঘোষ “দেশভ্রমণে রবীন্দ্রনাথ” নামক গ্রন্থে এই কর্তব্য কিয়দংশে পালন করিয়াছেন। আমরা এখানে অতি সংক্ষেপে রবীন্দ্রনাথের বিদেশ ভ্রমণের সামান্য কিছু পরিচয় দিলাম।
১৯১২-১৩ খৃঃ—গ্রেটব্রিটেন, নিউইয়র্ক (উপনিষদ সম্বন্ধে বক্তৃতা); সিকাগো (ভারতীয় সভ্যতার আদর্শ)।
১৯১৬—জাপান, আমেরিকা।
১৯২০—ব্রিটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, হল্যাণ্ড; আমেরিকা (নিউইয়র্ক, সিকাগো, টেকসাস)।
১৯২১—ফ্রান্স, সুইজারল্যাণ্ড, জার্মানী (কবি এইবার জার্মানীর নানা স্থানে বক্তৃতা করেন ও বিপুলভাবে সম্বর্ধিত হন)।
১৯২৪—চীন, দক্ষিণ আমেরিকা। ১৯২৫ ও ১৯২৬—ইটালী, নরওয়ে, জার্মানী।
১৯২৭—সুমাত্রা, জাভা, বলী, মালাক্কা।
১৯২৯—কানাডা।
১৯৩০—ব্রিটেন (অক্সফোর্ড); রাশিয়া। রাশিয়ার অভিজ্ঞতা রবীন্দ্রনাথের মনের উপর খুবই প্রভাব বিস্তার করে। রাশিয়া যে নূতন প্রণালীতে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করিতেছে