তৃতীয়ত, দেশের দারিদ্র্য দূর করিতে হইলে যে স্বদেশী শিল্পের প্রতিষ্ঠা ও প্রসারের প্রয়োজন, হিন্দু মেলায় এই ভাবও সর্বাগ্রে হাতে-কলমে প্রচার করা হইয়াছিল।
হিন্দু মেলাতেই সর্বপ্রথম ‘জাতীয় সংগীত’ রচিত ও গীত হইয়াছিল। গণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘লজ্জায় ভারত-যশ গাহিব কি করে’, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মলিন মুখচন্দ্রমা ভারত তোমারি’, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মিলে সব ভারত সন্তান’, দ্বারকানাথ গাঙ্গুলীর ‘না জাগিলে সব ভারত-ললনা, এ ভারত আর জাগে না, জাগে না’, কবি মনোমোহন বসুর ‘দিনের দিন সবে দীন’ প্রভৃতি বিখ্যাত জাতীয় সংগীত এই হিন্দু মেলাতেই গীত হইয়াছিল। কবি মনোমোহনের গানে দেশের অর্থ নৈতিক দুর্গতি এবং স্বদেশী শিল্পের পুনরুদ্ধারের বার্তা ওজস্বিনী ভাষায় প্রকাশ করা হইয়াছিল—
দিনের দিন সবে দীন
ভারত হয়ে পরাধীন।
অন্নাভাবে শীর্ণ চিন্তাজ্বরে জীর্ণ
অনশনে তনু ক্ষীণ।
আজ যদি এ রাজ্য ছাড়ে তুঙ্গরাজ
কলের বসন বিনে কিসে রবে লাজ,
ধরবে কি লোকে তবে দিগম্বরের সাজ
বাকল টেনা ডোর্ কপিন্