বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ - প্রফুল্লকুমার সরকার (১৯৪৭).pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কৈশোর স্বপ্ন

কার্যকরী শক্তিই এই হিন্দু মেলার সাফল্যের প্রধান কারণস্বরূপ হইয়াছিল। রাজনারায়ণ বসুর প্রগাঢ় স্বদেশপ্রেমের তুলনা মিলে না। হিন্দু মেলায় জাতীয় ভাব সঞ্চারের মূলে ছিলেন তিনি। তাঁহার ‘হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠতা’, ‘সেকাল আর একাল’ প্রভৃতি কয়েকটি প্রসিদ্ধ বক্তৃতা তিনি “জাতীয় সভা”তেই দিয়াছিলেন।

 নবগোপাল মিত্র ছিলেন আগাগোড়া জাতীয়ভাবে ভরপুর, লোকে তাঁহার নামই দিয়াছেন ‘ন্যাশনাল নবগোপাল’। জাতীয়ভাব প্রচারের জন্য ‘ন্যাশনাল পেপার’ নামে তিনি একখানি সংবাদপত্র প্রকাশ করিয়াছিলেন। হিন্দু মেলার জন্য তিনি সর্বস্ব পণ করিয়াছিলেন বলিলেই হয়। তিনি তখনকার দিনে একজন ধনীলোক ছিলেন, কিন্তু এই হিন্দু মেলা ও ‘ন্যাশনাল পেপার’ প্রভৃতির জন্য বহু অর্থব্যয় করিয়া অবশেষে ঋণগ্রস্ত হইয়াছিলেন। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁহার জীবন-স্মৃতিতে লিখিয়াছিলেন,—“নবগোপাল মিত্র মহাশয়ের উদ্যোগে ও গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের আনুকূল্যে ও উৎসাহে হিন্দু মেলা প্রতিষ্ঠিত হইল। দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও দেবেন্দ্রনাথ মল্লিক মহাশয়েরা হইলেন মেলার পৃষ্ঠপোষক। শ্রীযুত শিশিরকুমার ঘোষমনোমোহন বসুও এই মেলায় খুব উৎসাহী হইলেন। এই হিন্দু মেলাতেই বঙ্গদেশে, যদি সমগ্র ভারতবর্ষে নাও হয়, সর্বপ্রথম জাতীয় শিল্প প্রদর্শনীর পত্তন হইল। ঐ মেলায় তখন কৃষি, চিত্র, শিল্প, ভাস্কর্য স্ত্রীলোকদের