বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ - প্রফুল্লকুমার সরকার (১৯৪৭).pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ

হাতেখড়ি হইয়াছিল। জ্যোতিরিন্দ্রনাথের সাহচর্যে ও দৃষ্টান্তে রবীন্দ্রনাথের মনে জাতীয়ভাবের সঞ্চার হইয়াছিল, একথা নিঃসংশয়ে বলা যাইতে পারে। জ্যোতিরিন্দ্রনাথের মত বাঙলা সাহিত্যের এমন অক্লান্ত সেবক বিরল। শেষ বয়স পর্যন্ত সংস্কৃত নাটক ও ফরাসী গ্রন্থের অনুবাদ করিয়া তিনি বাঙলা সাহিত্যের পরিপুষ্টি করিয়া গিয়াছেন। এই বহুমুখী প্রতিভাশালী ব্যক্তি বাঙলার জাতীয় জীবন ও সাহিত্যে অমর হইয়া থাকিবেন।

 কিশোর বয়সেই রবীন্দ্রনাথ অগ্রজদের সঙ্গে হিন্দু মেলায় যান। ১৮৭৫ সালে (রবীন্দ্রনাথের বয়স তখন ১৪ বৎসর), হিন্দু মেলায় রবীন্দ্রনাথের কবিতা (“হিন্দুমেলার উপহার”) পঠিত হয়। ১৮৭৭ সালে হিন্দু মেলায় তিনি আর একটী জাতীয় ভাবোদ্দীপক কবিতা পাঠ করেন। এই। সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ তাঁহার ‘জীবন-স্মৃতি’তে লিখিয়াছেন,—

 “লর্ড কার্জনের সময় দিল্লী দরবার সম্বন্ধে একটা গদ্য প্রবন্ধ লিখিয়াছি—লর্ড লিটনের সময় লিখিয়াছিলাম পদ্যে। তখনকার ইংরেজ গভর্মেণ্ট রুশিয়াকেই ভয় করিত, কিন্তু চোদ্দ পনের বছর বয়সের বালক কবির লেখনীকে ভয় করিত না। এই জন্য সেই কাব্যে বয়সোচিত উত্তেজনা প্রভূত পরিমাণ থাকা সত্ত্বেও তখনকার প্রধান সেনাপতি হইতে আরম্ভ করিয়া পুলিসের কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত কেহ বিচলিত হইবার লক্ষণ প্রকাশ করেন নাই। ......সেটা পড়িয়াছিলাম হিন্দু মেলায়