গাছের তলায় দাঁড়াইয়া। শ্রোতাদের মধ্যে নবীন সেন মহাশয় উপস্থিত ছিলেন।”
শ্রীযুক্ত সজনীকান্ত দাস ও ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এই কবিতাটিই জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ‘স্বপ্নময়ী নাটকে’ “দেখিছ না অয়ি ভারত-সাগর” শীর্ষক কবিতা বলিয়া প্রমাণ করিয়াছেন।
এই সময়ে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে এবং বৃদ্ধ রাজনারায়ণ বসুর সভাপতিত্বে একটি ‘স্বাদেশিক সভা’ প্রতিষ্ঠিত হয়। কিশোর রবীন্দ্রনাথ ইহার একজন সভ্য ছিলেন। হিন্দু মেলার ন্যায় এই ‘স্বাদেশিক সভা’ও রবীন্দ্রনাথের মনের উপর প্রভূত প্রভাব বিস্তার করিয়াছিল। এই সভা সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ তাঁহার ‘জীবন-স্মৃতি’তে লিখিয়াছেন,—
“কলিকাতার এক গলির মধ্যে এক পোড়ো বাড়িতে এই সভা বসিত। সেই সভার সমস্ত অনুষ্ঠান রহস্যে আবৃত ছিল। বস্তুত তাহার মধ্যে ঐ গোপনীয়তাটাই একমাত্র ভয়ঙ্কর ছিল। আমাদের ব্যবহারে রাজার বা প্রজার ভয়ের বিষয় কিছু ছিল না। আমরা মধ্যাহ্নে কোথায় কি করিতে যাইতেছি তাহা আমাদের আত্মীয়রাও জানিতেন না। দ্বার আমাদের রুদ্ধ, ঘর আমাদের অন্ধকার, দীক্ষা আমাদের ঋক্মন্ত্রে, কথা আমাদের চুপিচুপি—ইহাতেই সকলের রোমহর্ষণ হইত, আর বেশী কিছুই প্রয়োজন ছিল না। আমার মত অর্বাচীনও এই সভার সভ্য ছিল। সেই সভায় আমরা এমন একটি ক্ষ্যাপামির তপ্ত