বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ - প্রফুল্লকুমার সরকার (১৯৪৭).pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ

মস্তকে পড়িবে ঝরি, তারি মাঝে যাব অভিসারে
তার কাছে, জীবনসর্বস্বধন অর্পিয়াছি যারে
জন্ম জন্ম ধরি।

* * *

শুধু জানি
সে বিশ্বপ্রিয়ার প্রেমে ক্ষুদ্রতারে দিয়া বলিদান
বর্জিতে হইবে দূরে জীবনের সর্ব অসম্মান,
সম্মুখে দাঁড়াতে হবে, উন্নত মস্তক উচ্চে তুলি
যে মস্তকে ভয় লেখে নাই লেখা, দাসত্বের ধূলি
আঁকে নাই কলঙ্কতিলক।

* * *

 এই সমস্ত লেখারই মূল নীতি ছিল,— আত্মশক্তির দ্বারাই জাতিকে স্বাধীনতার পথে অগ্রসর হইতে হইবে—‘ভিক্ষায়াং নৈব নৈব চ’। বস্তুত ‘সাধনা’কে রবীন্দ্রনাথের যৌবনের সাধনার যুগও বলা যাইতে পারে।

 এই সময়ে রবীন্দ্রনাথ জনসভায় যে সমস্ত বক্তৃতা ও প্রবন্ধ পাঠ করেন, তাহারও মূল সুর ছিল ঐরূপ। ১৮৯৩ সালে তিনি কলিকাতার এক জনসভায় (চৈতন্য লাইব্রেরীতে) তাঁহার বিখ্যাত প্রবন্ধ “ইংরেজ ও ভারতবাসী” পাঠ করেন। স্বয়ং বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন এই সভার সভাপতি। রবীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধে বলেন,—“সম্মান বঞ্চনা করিয়া লইব না, সম্মান আকর্ষণ করিব। নিজের মধ্যে সম্মান অনুভব করিব।