বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ - প্রফুল্লকুমার সরকার (১৯৪৭).pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
যৌবনের সাধনা
২৭

তাহার কিয়দংশ উদ্ধৃত করিবার লোভ সম্বরণ করিতে পারিলাম না।—

 “আগে থেকেই ঠিক ছিল, রবিকাকা প্রস্তাব করেন, প্রোভিন্সিয়াল কনফারেন্স বাঙলা ভাষায় হবে। আমরা ছোক্‌রারা সবাই রবিকাকার দলে। আমরা বললুম, নিশ্চয়ই, প্রোভিন্সিয়াল কনফারেন্সে বাঙলা ভাষার স্থান হওয়া চাই। ররিকাকাকে বললুম, ছেড়ো না, আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব এজন্যে। সেই নিয়ে আমাদের বাধল চাঁইদের সঙ্গে। তাঁরা আর ঘাড় পাতেন না। ছোকরার দলের কথায় আমলই দেন না। তাঁরা বললেন, যেমন কংগ্রেসে হয়, তেমনি এখানেও হবে—সব কিছু ইংরেজিতে। অনেক তক্কাতক্কির পর দুটো দল হয়ে গেল। একদল বলবে বাঙলাতে আর একদল বলবে ইংরেজিতে। সবাই মিলে গেলুম প্যাণ্ডেলে। বসেছি সব, কনফারেন্স আরম্ভ হবে। রবিকাকার গান ছিল, গান তো আর ইংরেজীতে হতে পারে না, বাঙলা গানই হলো। ‘সোনার বাঙলা’ গানটা বোধ হয় সেই সময়ে গাওয়া হয়েছিল।

 “এখন প্রেসিডেণ্ট উঠেছেন স্পীচ দিতে,—ইংরেজীতে যেই না মুখ খোলা, আমরা ছোকরারা যারা ছিলুম, বাঙলা ভাষার দলে, সবাই এক সঙ্গে চেঁচিয়ে উঠলুম—বাঙলা, বাঙলা। মুখ আর খুলতেই দিই না কাউকে। ইংরেজীতে কথা আরম্ভ করলেই আমরা চেঁচাতে থাকি, বাঙলা, বাঙলা। মহা মুশকিল,