অন্যদিকে বিদেশী শিল্প বর্জন বা বয়কট—অর্থনৈতিক সংগ্রামের এই দুইটি উপায় তাঁহারা নির্দেশ করিলেন। সরকারী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বর্জন এবং জাতীয় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাও এই নূতন রাজনৈতিক সংগ্রামের আর একটি অস্ত্র বলিয়া গণ্য হইল।
নূতন দলের শক্তিশালী নেতা ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় এই সময়ে ‘সন্ধ্যা’ নামক বিখ্যাত দৈনিকপত্র প্রকাশ করিয়া এই সমস্ত কথা জোরের সঙ্গে প্রচার করিতে লাগিলেন। তাঁহার সঙ্গে আরও অনেক শক্তিমান ব্যক্তি আসিয়া যোগ দিলেন, যথা—শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী, পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোরঞ্জন গুহ ঠাকুরতা প্রভৃতি। বিপিনচন্দ্র পালও তাঁহার ‘নিউ ইণ্ডিয়া’ পত্রে জ্বালাময়ী ভাষায় নূতন দলের মত প্রচার করিতে লাগিলেন। Passive Resistance বা নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধের নীতি রাজনৈতিক সংগ্রামের পন্থা হিসাবে বিপিনচন্দ্রই প্রথমে ‘নিউ ইণ্ডিয়া' পত্রে প্রচার করিতে আরম্ভ করেন। ইহার অব্যবহিত পরে মহাত্মা গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘সত্যাগ্রহ’ নীতি অবলম্বন করেন। বিপিনচন্দ্রের ‘নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধ’ যে মহাত্মা গান্ধীর ‘সত্যাগ্রহে’র উপর যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করিয়াছিল তাহাতে সন্দেহ নাই। কংগ্রেসের নিয়মতন্ত্রবাদীরা ভারতের জন্য তখন ‘ডোমিনিয়ান স্টেটাস’ বা ‘ঔপনিবেশিক স্বায়ত্তশাসন’ চাহিতেন। বহু বৎসর পর্যন্ত—মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্ব আরম্ভ হইবার পরেও, কংগ্রেসের এই ঔপনিবেশিক