বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ - প্রফুল্লকুমার সরকার (১৯৪৭).pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বদেশী আন্দোলন
৫৩

স্বায়ত্তশাসনের বেশী কিছু দাবী করে নাই। কিন্তু বিপিনচন্দ্র সেই স্বদেশী আন্দোলনের সূচনা হইতেই জাতির পক্ষ হইতে ‘নিউ ইণ্ডিয়া’ পত্রে জোরের সঙ্গে Full Autonomy বা পূর্ণ স্বাতন্ত্র্যের দাবী প্রচার করিতে লাগিলেন। নূতন দলের মতবাদ এইভাবে দ্রুত গড়িয়া উঠিতে লাগিল, দেশের যুবকেরা তাহাতে সাড়া দিতে লাগিল।

 এই সময়ে সর্বপ্রধান স্মরণীয় ঘটনা বাঙলার রাজনীতিক্ষেত্রে শ্রীঅরবিন্দ ঘোষের যোগদান। এই অসাধারণ শক্তিশালী পুরুষ যেন যাদুমন্ত্রবলে বাঙলার রাজনৈতিক-ক্ষেত্রে যুগান্তর সৃষ্টি করিলেন। ব্রহ্মবান্ধব ও বিপিনচন্দ্রের নেতৃত্বে যে নূতন শক্তি দেশের মধ্যে জাগিয়া উঠিয়াছিল, শ্রীঅরবিন্দ অত্যন্ত সহজভাবেই তাহার নেতৃত্ব গ্রহণ করিলেন। নূতন দল প্রতিষ্ঠিত হইল—নব জাতীয়তা আন্দোলনের সৃষ্টি হইল। শ্রীঅরবিন্দের সম্পাদনায় ইংরেজী দৈনিক পত্র ‘বন্দে মাতরম্’ নবীন দলের মুখপত্ররূপে এই নব জাতীয়তা আন্দোলনের আদর্শ প্রচার করিতে লাগিল। সে আন্দোলন আর বাঙলা দেশে সীমাবদ্ধ থাকিল না—দেখিতে দেখিতে উহা ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও ছড়াইয়া পড়িল। মহারাষ্ট্রের লোকমান্য তিলক, পাঞ্জাবকেশরী লালা লাজপত রায়, মধ্যপ্রদেশের ডাঃ মুঞ্জে এই নব জাতীয়তা আন্দোলনের পতাকা দৃঢ়মুষ্টিতে ধারণ করিলেন। বিপিনচন্দ্র দাবী করিয়াছিলেন Full Autonomy বা পূর্ণ স্বাতন্ত্র্য্। শ্রীঅরবিন্দ আরও স্পষ্টভাবে জাতির পক্ষ হইতে দাবী