মুসলমানকে রাখী পরানো—এইবার একটা মারপিট হবে। মারপিট আর হবে কী। রাখী পরিয়ে আবার কোলাকুলি, সহিসগুলো তো হতভম্ভ কাণ্ড দেখে। আসছি, হটাৎ রবিকাকার খেয়াল হল চীৎপুরের বড় মসজিদে গিয়ে সবাইকে রাখী পরাবেন। হুকুম হোলো চলো সব। এইবারে বেগতিক—আমি ভাবলুম, গেলুম রে বাবা, মসজিদের ভিতরে গিয়ে রাখী পরালে একটা রক্তারক্তি ব্যাপার না হয়ে যায় না।
......আমরা সব বসে ভাবছি —এক ঘণ্টা কি দেড় ঘণ্টা বাদে রবিকাকারা সবাই ফিরে এলেন। আমরা সুরেনকে দৌড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলুম, কী কী হলো তোমাদের। সুরেন যেমন কেটে কেটে কথা বলে,—বললে, কী আর হবে, গেলুম মসজিদের ভিতর, মৌলবী টৌলবী যাদের পেলুম, হাতে রাখী পরিয়ে দিলুম। আমি বললুম—আর মারামারি। সুরেন বললে, মারামারি কেন হবে, ওরা একটু হাসলে মাত্র। যাক্ বাঁচা গেল। এখন হোলে—এখন যাও তো দিকিনি, মসজিদের ভিতর গিয়ে রাখী পরাও তো—একটা মাথা ফাটাফাটি কাণ্ড হয়ে যাবে।”