বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ - প্রফুল্লকুমার সরকার (১৯৪৭).pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

স্বদেশী আন্দোলন (শেষার্ধ)

 ১৬ অক্টোবর (১৯০৫) রাখীবন্ধন উৎসবের[] পর ‘ফেডারেশনের হল-গ্রাউণ্ডে’ (বর্তমানে আপার সার্কুলার রোডস্থিত ব্রাহ্ম বালিকাশিক্ষালয়ের উত্তরে অবস্থিত) বিরাট জনসভা আহূত হইল। প্রবীণ কংগ্রেসনেতা সর্বজনশ্রদ্ধেয় আনন্দমোহন বসু ঐ সভার সভাপতিপদে বৃত হইয়াছিলেন। আনন্দমোহনবাবু তখন বৃদ্ধ—রোগে শয্যাশায়ী। তৎসত্ত্বেও সেই জাতীয় সঙ্কটের দিনে তিনি দেশমাতৃকার আহ্বানে রোগশয্যা হইতেই উঠিয়া আসিলেন। আমার বেশ মনে পড়িতেছে, তাঁহাকে ‘ইনভ্যালিড চেয়ারে’ করিয়া সভাস্থলে আনা হইল। আনন্দমোহন বাঙালী জাতির পক্ষ হইতে ঘোষণা করিলেন যে, তাঁহারা বঙ্গ-বিভাগ কখনই মানিয়া লইবেন না এবং যতদিন ব্রিটিশ গভর্মেণ্টের ঐ আদেশ বাতিল না হয়, ততদিন জাতির সমস্ত শক্তি দিয়া আন্দোলন চালাইবেন। ঐক্যবদ্ধ অখণ্ড বাঙলার প্রতীকস্বরূপ ফেডারেশন হল বা “মিলন


  1. রাখীবন্ধন উৎসবের প্রসঙ্গে মৌলবী লিয়াকত হোসেনের নাম বিশেষভাবে স্মরণীয়। এই আত্মত্যাগী দারিদ্র্যব্রতী স্বদেশসেবক প্রতি বৎসর ৩০ শে আশ্বিন ছাত্র ও যুবকদের লইয়া মহাসমারোহে রাখীবন্ধন উৎসব করিতেন ও “বন্দে মাতরম্” গান গাহিতেন। বঙ্গভঙ্গ বাতিল হইবার পরও বহু বৎসর তিনি এই জাতীয় উৎসব রক্ষা করিয়াছিলেন।