মন্দির”-এর ভিত্তিও ঐ দিন আনন্দমোহন স্থাপন করিলেন। আনন্দমোহন নিজে তাঁহার লিখিত বক্তৃতা পাঠ করিতে পারিলেন না, দেশপূজ্য সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁহার পক্ষ হইতে ঐ বক্তৃতা জলদগম্ভীর স্বরে পাঠ করিলেন।
রবীন্দ্রনাথ সেই বিরাট সভায় যোগ দিয়াছিলেন এবং তিনিই আনন্দমোহনের বক্তৃতা বাঙলায় অনুবাদ করিয়া পাঠ করেন। তারপর বাঙলা ও ইংরেজীতে জাতীয় সঙ্কল্পবাক্য বা প্রতিজ্ঞাপত্র পাঠ করা হইল। বঙ্গভঙ্গ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত বাঙালী নিরস্ত হইবে না এবং তাহারা কেবল স্বদেশী দ্রব্যই ব্যবহার করিবে, কোন বিদেশী পণ্য ক্রয় করিবে না, ইহাই ছিল সঙ্কল্পের সার মর্ম। বাঙলার সর্বত্র হাজার হাজার সভায় দিনের পর দিন সেই জাতীয় সঙ্কল্পবাক্য পঠিত হইয়াছিল। সাধারণত ঐসব সভায় সভাপতি সঙ্কল্পবাক্য বা প্রতিজ্ঞাপত্র পাঠ করিতেন, সঙ্গে সঙ্গে সভাস্থ সকলে সমস্বরে উহা আবৃত্তি করিতেন। রবীন্দ্রনাথ নিজে বহু সভায় জনসাধারণকে জাতীয় সঙ্কল্পবাক্য আবৃত্তি করাইয়াছিলেন। ১৬ই অক্টোবর অপরাহ্ণেই বাগবাজারে পশুপতি বসুর বহির্বাটীর বৃহৎ প্রাঙ্গণে আর একটি বিরাট জনসভা হয় এবং রবীন্দ্রনাথ তাহাতে বক্তৃতা করেন। এই সভায় প্রধানত রবীন্দ্রনাথের আবেগময় আহ্বানে ‘জাতীয় ভাণ্ডার’-এর জন্য ৫০ হাজার টাকা সংগৃহীত হয়। রবীন্দ্রনাথ রামকৃষ্ণপুর (হাওড়া) প্রভৃতি আরও কয়েকটি স্থানে সভা করিয়া জাতীয় ভাণ্ডারের জন্য অর্থ সংগ্রহ করিয়াছিলেন। ইহার