অর্থসাহায্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু প্রথমে যখন অপেক্ষাকৃত সামান্য সম্বল লইয়া জাতীয় শিক্ষা পরিষৎ গঠিত এবং জাতীয় বিদ্যালয় স্থাপিত হয়, তখন কয়েকজন ত্যাগী, নিঃস্বার্থব্রতী কর্মীই উহাকে ধাত্রীর ন্যায় পালন করিয়াছিলেন। ইঁহাদের মধ্যে আচার্য সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক বিনয়কুমার সরকার, অরবিন্দ প্রকাশ ঘোষ, শ্রীযুত প্রমথনাথ মুখোপাধ্যায় (বর্তমানে সন্ন্যাসী), ডাঃ রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায়, ৺কুমুদনাথ লাহিড়ী প্রভৃতির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শ্রীঅরবিন্দও কিছুকাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষতা করিয়াছিলেন। সেই সময় কলিকাতার জাতীয় শিক্ষা পরিষদের অধীনে বাঙলার নানাস্থানেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। উত্তরকালে যখন এই আন্দোলনের তীব্রতা হ্রাস হয় এবং পূর্বেকার হিতৈষীদের অনেকেই জাতীয় শিক্ষা পরিষদের সহিত সংস্রব ত্যাগ করেন, তখনও যাহারা আহিতাগ্নিকের মত জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করিয়াছিলেন, তাঁহাদের মধ্যে হীরেন্দ্রনাথ দত্তের নাম সর্বাগ্রগণ্য। প্রধানত তাঁহারই নীরব সাধনা ও অক্লান্ত কর্মপ্রচেষ্টার ফলে এবং ডাঃ রাসবিহারী ঘোষের বদান্যতায় যাদবপুরের বিরাট জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়িয়া উঠিয়াছে এবং বাঙলার, শুধু বাঙলার কেন, ভারতের অন্যতম গৌরবের বস্তু বলিয়া গণ্য হইয়াছে।
রবীন্দ্রনাথ প্রথমাবধিই এই জাতীয় শিক্ষা আন্দোলনের