সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রথম যখন জাতীয় শিক্ষা পরিষৎ গঠিত হয়, তখন তিনি বিশেষ উৎসাহসহকারে ইহাতে যোগ দিতেন। এমন কি জাতীয় বিদ্যালয়ের পাঠ্যতালিকা নির্বাচন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র রচনা প্রভৃতি কার্যেও তিনি অংশগ্রহণ করিতেন। কিন্তু যে-কোন কারণেই হউক, কিছুদিন পরে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাঁহার ঘনিষ্ঠতা হ্রাস হয়। সম্ভবত জাতীয় শিক্ষার সম্বন্ধে তাঁহার নিজের আদর্শ ও পরিকল্পনা উহাতে সম্পূর্ণ সার্থক হইয়া উঠে নাই। তিনি ইতিপূর্বেই ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়ের সহযোগিতায় বোলপুর শান্তিনিকেতনে যে ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন তাহাকেই নিজের আদর্শ অনুসারে জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানরূপে গড়িয়া তুলিবার কার্যে আত্মনিয়োগ করেন। কিছুদিন পরে অধ্যাপক মোহিতচন্দ্র সেন আসিয়া তাঁহার কার্যে যোগদান করেন।
স্বদেশী যুগে যে নূতন জাতীয়তাবাদী দলের উদ্ভব হয়, তাহার কথা পূর্বেই বলিয়াছি। বাঙলার কবি ও মনীষীদের প্রবর্তিত জাতীয় আন্দোলনের ইহারাই ছিলেন উত্তরসাধক। রবীন্দ্রনাথের সহানুভূতি স্বভাবতই এই নূতন দলের প্রতি ছিল এবং তিনি নিজেও এই দলের অন্যতম নেতা বলিয়া গণ্য হইতেন। কিন্তু তৎসত্ত্বেও তিনি সম্পুর্ণরূপে এই দলের সঙ্গে যুক্ত হন নাই, দলগত রাজনীতির বাহিরে কতকটা নিরপেক্ষভাবেই থাকিতেন। প্রয়োজন হইলে প্রাচীন নিয়মতান্ত্রিক দলের সঙ্গেও তিনি যোগ দিয়া কাজ করিতেন। অনেক