\ు জিজ্ঞাসা অনস্তুের ও কাল্পনিক অনাদির স্বষ্টি করিয়া আপনার সম্মুখে ধরিয়া তাহার কাল্পনিক বৃহত্ত্বের তুলনায় আপনাকে ক্ষুদ্র মনে করিয়া প্রতারিত झग्न । 藻 জগৎ কোথায় ? জগৎ তোমার বাহিরে নহে ; জ্ঞাননেত্রে চাহিয়া দেখ, জগৎ তোমার অন্তরে । জীবসমাকুলা বসুন্ধরা, স্বৰ্য্যকেন্দ্রক সৌরজগৎ, নক্ষত্রাকীর্ণ নভস্তল, তোমারই অন্তরে । তুমি বিশ্ব জগতের অন্তর্গত নহ, বিশ্বজগতই তোমার অন্তর্গত । বিশ্ব জগতের স্বাধীন অস্তিত্বেরই প্রমাণ নাই ; তোমার অস্তিত্বের প্রমাণ আবশুক নাই । স্বৰ্য্য আলোক দিতেছে, সেই জন্য তুমি দেখিতে ছ ;–ইহা ভ্রান্তি । তুমি দেখিতেছ ও বলিতেছ, স্বৰ্য্য আলোক দিতেছে ;–ইহাই সত্য। স্বর্য্যের অস্তিত্বের অন্ত প্রমাণ কোথায় ? তোমার বন্ধু ও হয়ত বলিতেছেন, স্বৰ্য্য আলোক দিতেছে,–এই সাক্ষ্যে ভুলিও না ; কেন না, তোমার বন্ধুইবা কে ? তুমি দেখিতেছ ও বলিতেছ, উনি আমার বন্ধু ; তুমি বলিতে বলিয়াই তোমার বন্ধু অস্তিত্ববান। তোমার খেয়াল হইয়াছে, সেই জন্ত বলিতেছ, ওখানে স্বৰ্য্য থাকিয় আলোক দিতেছে ; তোমার খেয়াল, সেই জন্ত বলিতেছ, এখানে বন্ধু দাড়াইয়া ঐ স্বর্য্যের অস্তিত্বের সাক্ষ্য দিতেছেন । তোমার বন্ধুর মুখে যে কথা শুনিতেছ, সে কথা তোমার বন্ধুর • , । সে তোমারই কথা ; তুমি তাহাকে যাহা বলাইতেছ, তাহাই তিন বলিতেছেন । তুমি তোমার স্বৰ্য্যেৱ স্থষ্টি করিয়াছ ; তুমি তোমার বন্ধুর স্বষ্টি করিয়াছ ; আবার কি অদ্ভুত খেয়াল বলে তোমার কল্পিত বন্ধুর মুখ দিয়া তোমার কল্পিত সুয্যের অস্তিত্বের’ সাক্ষ্য কল্পিত করিতেছ। স্থৰ্য্যের অস্তিত্বে বিস্ময়ের কারণ নাই, বিস্ময়ের কারণ তোমার খেয়ালে । এমন খেয়াল তোমার কেন হয়, এমন খেয়াল তোমার কি জন্ত হয় ? অথবা এ প্রশ্নই বা কেন ? এই নানারূপ খেয়াল আছে, তাই
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১২৫
অবয়ব