পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার পিত্তল মতি" ; তব আহা, ইহাদেরি কানে অনেক ঐশবষ ঢেলে চ'লে গেলো যুবকের দল ; একবার নক্ষত্রের পানে চেয়ে – একবার বেদনার পানে । সূৰ্যসাগরতীরে সষের আলো মেটায় খোরাক কার ঃ সেই কথা বোঝা ভার । অনাদি যুগের অ্যামিবার থেকে আজিকে ওদের প্রাণ গড়িয়া উঠিল কাফির মতো সষে সাগরতীরে কালো চামড়ার রহস্যময় ঠাশ-বননিটি ঘিরে চারিদিকে স্থির-ধম-নিবিড় পিরামিড যদি থাকে— অনাদি যুগের অ্যামিবার থেকে আজিকে মানবপ্রাণ সষে তাড়সে প্রণকে যদিও করে ঢের ফলবান,— তবুও আমরা জননী বলিব কাকে ? গড়িয়া উঠিল মানবের দল সময সাগরতীরে কালো আত্মার রহস্যময় ভুলের বননি ঘিরে । মনোৰীজ জামিরের ঘন বন আইখানে রচেছিলো কারা ? এইখানে লাগে নাই মানুষের হাত । দিনের বেলায় যেই সমারড়ে চিন্তার আঘাত ইপাতের অাশা গড়ে—সেই সব সমােজবল বিবরণ ছাড়া যেন আর নেই কিছু পৃথিবীতে ঃ এই কথা ভেবে তাহারা রয়েছে ঘমে তুলোর বালিশে মাথা গ:জে ; - তাহারা মৃত্যুর পর জামিরের বনে জ্যোৎস্না পাবে নাকো খ:জে ; ৰধির ইপাত-খড়া তাহাদের কোলে তুলে নেবে । সেই মুখ এখনও দিনের আলো কোলে নিয়ে করিতেছে খেলা ঃ যেন কোনো অসংগতি নেই—সব হালভাঙা জাহাজের মতো সমন্বর সাগরে অনেক রৌদ্র অাছে ব’লে ;–পরিব্যস্ত বন্দরের মতো মনে হয় যেই এই পৃথিবীকে ;—সেখানে অঙ্কুশ নেই তাকে অবহেলা করিবে সে আজো জানি,–দিনশেষে বাদাড়ের মতন-সঞ্চারে তারে আমি পাবো নাকো ;–এই রাতে পেয়ারার ছায়ার ভিতরে তারে নয়—স্নিগ্ধ সব ধানগন্ধী প"্যাচাদের প্রেম মনে পড়ে । । মৃত্যু এক শান্ত খেত—সেইখানে পাবো নাকো তারে । , ఏఏS