পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$SS ১৬৯২ খ্ৰীঃ অন্ধে অপর মুঘল সেনাপতি আলি মরদান খ। মারাঠা-সেনানী শান্ত। ঘোরপারের হস্তে বন্দী হন । ১৬৯০ খ্ৰীঃ অব্দ হইতে জুলফিকার র্থ প্রভৃতি মুঘল সেনাপতিগণ জিঞ্জি অধিকার করিবার চেষ্টা করেন এবং বিফল মনোরথ হইয়। প্রায় তিন বৎসর পরে সে প্রয়াস পরিত্যাগ করেন। ১৬৯৪ খ্ৰীঃ অব্দে পুনরীয় জিঞ্জি অধিকারের চেষ্টা হয় এবং অনেক চেষ্টার পরে ১৬৯৮ খ্ৰীঃ অব্দে উহ মুঘল অধিকারে আইসে । এই সময়ের মধ্যে দক্ষিণাপথের পূর্বভাগে তাঞ্জোর, ভেলোর, আর্কট প্রভৃতি কতিপয় স্থান মুঘল অধিকারে আইসে এবং কতিপয় মুঘল সেনানী মারাঠাদিগের হস্তে নিহত এবং বন্দী হন । রাজপুত সেনাপতি দুর্গাদাস, সম্রাটের পৌত্র (কুমার আকবরের পুত্র ) বুলন্দ অtখ তারকে সম্রাট সমীপে উপস্থিত করেন। এবং তজ্জন্ত তুষ্ট হইয়া সম্রাট দুর্গাদাস ও যশোবস্তের পুত্র অজিত সিংহকে জায়গীর ও রাজসন্মান প্রদান করেন। ১৬৯৯ খ্ৰীঃ আবেদ ইউরোপীয় বণিকদিগের সহিত এক বন্দোবস্ত হয় । তাহার ফলে, ওলন্দাজ, ইং" ও ফরাসীর আরবসাগর,পারস্ত উপগগির ও ভারতবর্ষের সন্নিকটস্থ স্থান সমূহে জলদসু্য দমনের ভার প্রাপ্ত হন। ঐ বৎসরই আওরঙ্গ জীব স্বয়ং সেতারার ঘূর্গ অধিকার করিতে অভিযান করেন এবং কয়েক মাসের মধ্যেই উহা মুঘল 曹 יל כ- כי ভারতীয়-ঐতিহাসিক ख्ञां७ङ्गत्रजौब অধিকৃত হয় । অতঃপর কয়েক বৎসরের মধ্যেই আরও কয়েকটি মারাঠা অধিকৃত গুর্গ মুঘল অধিকারে আইসে । দক্ষিণাপথে যখন এইরূপ ঘটিতেছিল, তখন উত্তর ভারতে যুদ্ধবিগ্রহের অভাব ছিল না । ১৬৮১ খ্ৰীঃ অব্দে মেবারের সহিত মুঘলশক্তির সন্ধির ফলে, তথায় শান্তি স্থাপিত হয়। তখনও মারবাড় মুঘল:মধীনে ছিল বটে, কিন্তু রাঠোর বীর দুর্গাদাস স্বদেশকে শক্র হস্তহইতে উদ্ধার করিতে কৃতসংকল্প ছিলেন । যদিও সুদীর্ঘকাল তাহার আশা অপূর্ণ ছিল। দক্ষিণাপথে মারাঠাদিগের সহিত বলপরীক্ষায় মুঘলশক্তি ক্রমশঃ যখন ক্ষীণবল হইয়। আসিতে লাগিল, তখনই রাঠোরের তাহীদের মনোবাসন৷ পূর্ণ করিবার সুযোগ প্রাপ্ত হইলেন। তাহা হইলে ও অতি দীর্ঘকাল ব্যাপিয়া চেষ্টার পর এবং সম্রাটের মৃত্যুর পর প্রকৃত পক্ষে অজিত সিংহ পিতৃরাজ্য উদ্ধার করিতে সমর্থ হন । ( দুর্গাদাস দেখ) । আগ্র ও মথুরার সন্নিকটস্থ ক্রুদ্ধৰ্ষ জাঠ সম্প্রদায়ও, সম্রাটের দীর্ঘকাল রাজধানী হইতে দুরে দাক্ষিণাত্যে থাকার সুযোগ গ্রহণ করিয়া নানরূপে উপদ্রব করিতে আরম্ভ করে । রাজারাম ও রামছেড়া নামক দুই জাঠ সর্দারই এই বিষয়ে অগ্রণী ছিলেন। শাহজাদ বিদার বথুতকে সম্রাট ঐ জাঠ বিদ্রোহ দমনে নিযুক্ত করেন ।