পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృtya আনন্দী কবি নামেও খ্যাত। সম্ভবতঃ তিনি ১৭৭০ খ্ৰীঃ আবেদ জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৪০ খ্ৰীঃ আবেদ পরলোক શમન করেন । তাহার রচিত প্রসিদ্ধ ‘পদ্মপুরাণ’ গ্রন্থ এখনও ছাতক, দুলালী প্রভৃতি স্থানে পঠিত হইয়া থাকে । ইহা এখনও মুদ্রিত হয় নাই । ইহার ভাষা প্রাঞ্জল ও মধুর । আনন্দরাম قيقةIt-و هندس খ্ৰীঃ আবেদ জ্যৈষ্ঠ মাসে আসাম প্রদেশের গৌহাটীতে ইহঁার জন্ম হয় । পিতার নাম গর্গরীয় বড়ুয়া, মাতা দুৰ্লভেশ্বরী। ইনি জমিদার বংশসস্তৃত ছিলেন । বাল্যকালে তিনি গৌহাটীতে পাঠ সমাপ্ত করিয়া কলিকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ হইতে বি, এ, পাশ করেন । ১৮৬৯ সালে রাজকীয় বৃত্তি ও “গিলক্রাইষ্ট” বৃত্তি লইয়া বিলাত গমন করেন । তিন বৎসর কাল তথায় থাকিয়া, সিভিল সার্ভিস ও বারিষ্টারা পরীক্ষোত্তীর্ণ হইয়। ১৮৭২ খ্রীঃ আবেদ ভারতে প্রত্যাগমন করেন । তিনি ভারতীয় সিভিলিয়ানদের মধ্যে পঞ্চম । সিভিলসার্ভিস পরীক্ষায় তিনি প্রথম বিভাগে ২য় স্থান অধিকার করেন । বঙ্গের মুসন্তান আনন্দমোহন বসু, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, রমেশচন্দ্র দত্ত, বিহারীলাল গুপ্ত প্রভৃতি মহাত্মাগণ বিলাতে আনন্দরামের সহপাঠী ছিলেন। বিলাতে অবস্থান কালে তিনি ফরাসী ভাষা ভারতীয়-ঐতিহাসিক उन्नोजब्लङ्गोका এরূপ উৎকৃষ্ট ভাবে শিক্ষা করিয়াছিলেন যে, ফরাসী ভাষায় কথোপকথন কালে তাহার সুললিত উচ্চারণে সকলে বিস্মিত হইত । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতে বিশেষ পরীক্ষণ দিয়া দুই হাজার টাকা পুরস্কার প্রাপ্ত হন । তিনি প্রথমে আসামে পরে বঙ্গদেশের নানাস্থানে উচ্চপদের রাজ কাৰ্য্য করিয়া জিলা ম্যাজিষ্ট্রেটের পদ লাভ করেন। দারীত্বপূর্ণ রাজকীয় উচ্চপদে থাকিয়াও তিনি সাহিত্যসেবায় নিরত থাকিতেন । বহুসংখ্যক গ্রন্থ রচনা করিয়া তিনি যশস্বী হইয়াছেন । র্তাহার ইংরাজী হইতে সংস্কৃত অভিধান গ্রন্থখানি অত্যধিক প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে । এই প্রতিভাশালী স্বনামধন্য পুরুষ মাত্র চল্লিশ বৎসর বয়সে পক্ষাঘাত রোগে ১৮৮৯ খ্ৰীঃ আবেদ জানুয়ারী মাসে পরলোক গমন করেন। আজীবন কৌমাৰ্য্য ব্রতাবলম্বন করিয়া সাহিত্যচর্চায় জীবন কাটাইয়াছেন । বিবাহের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হইলে, তাহার পুস্তকাগারের দিকে অঙ্গুলী নির্দেশ করিয়া বলিতেন এই আমার ভার্য্যা । আনন্দরাম রায় ( রাজl )—তিনি রাজসাহার অন্তর্গত পুঠিয়ার রাজা নীলাম্বর রায়ের কনিষ্ঠ পুত্র । পিতার জীবিতকালেই তিনি দিল্লীর সম্রাট হইতে রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন । নীলাম্বরের জ্যেষ্ঠ পুত্র রতিকান্ত কোনও অপ্রিয় কাৰ্য্য করিয়া রাজ্য লাভে