আবুল হাসন করিবার উদ্যোগ করিতে ছিলেন, ইতিমধ্যে বদকশানের ভূপতি মির্জ সুলেমান তাহাকে আক্রমণ করিয়া নিহত করেন ( ১৬৬৪ খ্রীঃ) । আবুল ময়ালী একজন কবিও ছিলেন । আবুল হাসন – সম্রাট জাহাঙ্গিরের মন্ত্রী ইতিমদৌল্লার পুত্র । র্তাহার অন্যতম কন্যা আীরজমন্দবামু (অন্তনাম মমতাজমহল ) সম্রাট শা-জাহানের সহিত পরিনীত হন । ( ২ ) তিনি ঢাকার নবাব শায়েস্তা থার একজন দৌসেনাপতি ছিলেন । ঢাকা হইতে ১৮ ক্রোশ দূরে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র সংযোগস্থলের নিকটে নবাবের এক থান। ছিল । মগ ও পটুগীজ জল দস্তাদের দমন করিবার জন্য এখানে সৈন্য ও নৌবহর রক্ষিত ছিল । আবুল হুশেন এখানে দুইশত রণতরী সহ অবস্থান করিতেন । নবাব শায়েস্তা খাঁ এই রণতরী ও নৌসেনাপতিদের সাহায্যেই চট্টগ্রাম হইতে মগদিগকে তাড়াইয়া উক্ত স্থান অধিকার করেন। . আবুল হাসন খা মির্জা – ইংরেজ রাজদরবারে পারস্তের রাজদূত রূপে তিনি ১৮০৯-১৮১৯ খ্রীঃ আব্দ পর্য্যন্ত অবস্থান করিয়ছিলেন । ‘হয়রাত নামা’ ( আশ্চৰ্য্য বিবরণ পূর্ণ পুস্তক ) নামক গ্রন্থে তিনি ভারতবর্ষ, তুরস্ক, রসিয়া, ইংলণ্ড প্রভৃতি দেশে তাহার ভ্রমণ বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ করিয়ছেন । জীবনী-কোষ ২১৬ আবুল হুশেল ( ডাক্তার ) – হুগলি জিলার বাগনান গ্রামে ১২৬৯ সালে ইহার জন্ম হয় । কলিকাতা মাদ্রাসার শিক্ষণ সমাপনীন্তে তিনি বিলাত গমন করেন। ইউরোপ ভ্রমণীন্তে আমেরিকায় যাইয়। চিকিৎসা বিদ্যায় এমডি, উপাধি প্রাপ্ত হন। তাহার পর বিজ্ঞান অধ্যয়ন করেন । তিনি বহু গ্রন্থের রচয়িতা ছিলেন । স্বীয় উদ্ভাধিত হোসেনী ছন্দে ‘স্বর্গারোহণ’, ‘যমজ ভগিনী’ ও ‘জী-স্ত পুতুল’ নামক তিন খনি কাব্য লিখিয়া গিয়াছেন, এভদ ব্য ও ত তাহার রচিত আরও অনেক 3, 5 i আবুল হুশেন, মীর—তিনি দিল্লীর সত্ৰtট বইণোল লোদীর অন্যতম মন্ত্রী ও সেনাপতি ছিলেন । র্তাহারই বুদ্ধি কৌশলে প্রসিদ্ধ প্রথম কালাপাহাড় ( অন্ত নাম মোহাম্মদ ফৰ্ম্মলী ) ধূত ও বন্দী হইয়া দিল্লীর সম্রাট বহুলোল লোদীর নিকট প্রেরিত হইয়াছিলেন । আবু সৈয়দ ত্রিমিজ – একজন বিখ্যাত ফকির । র্তাহীর সমাধি মুর্শিদাবাদ জিলার শেখের দিঘি নামক গ্রামে বর্তমান আছে । তিনি বাঙ্গালার শাসনকৰ্ত্ত হুণেন শাহের সময়ে বৰ্ত্তমান ছিলেন । তিনি নবীবের স্বদেশবাসী ছিলেন । তাহার অলৌকিক ক্ষমতায় মুগ্ধ হইয়। নবাব তাঁহাকে তথায় বাস ক}রপর ব্যবস্থা করিয়া দেন । তদৰ্থে
পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/২১২
অবয়ব