VLNOA কলিকাতায় আসিবার পর ঠাকুরদাস *পুত্রকে সংস্কৃত কলেজে ভৰ্ত্তি করাইয়। দেন । ( ১৮২৯ খ্ৰীঃ ১লা জুন )। ঐ বিদ্যালয়ে ঈশ্বরচন্দ্র প্রায় এগার বৎসর विश्वानि द्विथ्र वांकुझ१, मश्डिा, অলঙ্কার, জ্যোতিষ, স্মৃতি, বেদান্ত, স্তায় ও সাংখ্য শাস্ত্রে বুৎপত্তি লাভ করেন । ১৮৪০ খ্ৰীঃ অব্দে অধ্যয়ন সমাপ্ত করিয়া বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ পূৰ্ব্বক ছাত্র জীবন সমাপন করেন। ঐ সময়ের মধ্যেই কলেজের সাধারণ পরীক্ষা ব্যতীত আরও কয়েকটি বিষয়েও নিজ প্রতিভার পরিচয় প্রদান করেন । ১৮৩৮ খ্ৰীঃ অব্দে সংস্কৃতে একটি প্রবন্ধ %চনা করিয়া একশত টাকা পুরস্কার প্রাপ্ত হন তৎপরে একবার সংস্কৃত কবিতা রচনা করিয়া এবং আবার সংস্কৃতেই দশন শাস্ত্র সম্বন্ধীয় প্রবন্ধ রচনা করিয়া, ছুইবার একশত টাকা করিয়া পুরস্কার লাভ করেন। ১৮৩৯ খ্ৰীঃ অব্দে হিন্দু আইন সম্বন্ধে এক পরীক্ষা দিয়া প্রশংসা পত্র পান । কলেজে থাকিবার সময়ে তিনি ইংরেজি ভাষায় সম্যক্ বুৎপত্তি লাভ করেন নাই। পরে নিজ চেষ্টায় অতি উৎকৃষ্টরূপে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা ২ করিয়াছিলেন । ছাত্র জীবনে ঈশ্বরচন্দ্রকে অতি কঠোর পরিশ্রম ও কষ্ট স্বীকার করিতে হইত। তিনি কলিকাতায় আসিবার কয়েক বৎসর পরেই তাছার আরও দুইটি ভারতীয়-ঐতিহাসিক अॅश्वब्रकट অনুজ অধ্যয়নের জন্ত কলিকাতায় আগমন করেন । পাচক বা দাসদাসী বেতন দিয়া রাখিবার ক্ষমতা ঠাকুরদাসের ছিল না । সুতরাং ঈশ্বরচন্দ্রকেই স্বহস্তে রন্ধন ও অন্তান্ত কাজ সমাপন করিয়া অধ্যয়ন করিতে হইত। অনেক সময়ে রন্ধন করিবার সময়েই ফাকে ফাকে পড়িয়া লইতেন । কিন্তু তাঁহা সত্ত্বেও তিনি কোনও দিন অধ্যয়নে বীতস্পৃহ হন নাই, অথবা গৃহকৰ্ম্ম সম্পাদনে পরায়ুখ হন নাই। অধ্যয়ন সমাপন করিয়া ঈশ্বরচন্দ্ৰ কৰ্ম্ম ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন । প্রথমে ১৮৪১ খ্ৰীঃ অব্দে, মাসিক শঞ্চাশ টাকা বেতনে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রধান পণ্ডিতের পদ লাভ করেন । ঐ পদে নিযুক্ত থাকিবার সময়ে তাহাকে ইংলণ্ড হইতে নবাগত ইংরেজ রাজকৰ্ম্মচারীদিগের সংস্পশে আসিতে হইত। তজ্জন্ত ভালরূপ ইংরেজি শিক্ষা করা আবশ্বক বোধ হওয়াতে বিশেষ চেষ্টাপূৰ্ব্বক উৎকৃষ্ট্ররূপে ইংরেজি শিক্ষা করেন । ১৮৪৬ খ্ৰীঃ অব্দে তিনি সংস্কৃত কলেজের সহকারী কাৰ্য্যাধ্যক্ষ ( সেক্রেটারী) নিযুক্ত হন । তখন সংস্কৃত কলেজের সৰ্ব্বাধিকারীর (Principal ) পদ সৃষ্ট হয় নাই । কিন্তু কিছুকাল পরেই প্রধান কাৰ্য্যাধ্যক্ষের ( রসময় দত্ত ) সহিত কাৰ্য্য প্রণালী লইয়৷ মতভেদ হওয়াতে তিনি ঐ পদ পরিত্যাগ
