তুকারাম [ S o o J তুলসী রাজা প্রজ, ধনী নিধন, বালকবৃদ্ধ, স্ত্রীর এই বাক্যে তুলসীদাসের পুরুষ স্ত্রী, সকল শ্রেণীর লোকই তুকারামের কবিতা আগ্রহ সহকারে পাঠ বা আবৃত্তি করে। ধৰ্ম্ম জগতেও তুকারাম বিশেষ উন্নতি লাভ করিয়াছিলেন। ইষ্ঠীর পবিত্র চরিত্রে, কোমল স্বভাবে, বিনীত ব্যবহারে আবালবৃদ্ধনরনারীর মন আকৃষ্ট হইত। সাধনায় যে ইনি কতদূর উন্নত হইয়াছিলেন তাহ শিবজির উপদেশার্থ ইহার রচিত শ্লোকে অবগত হওয়া যায়— { এই এক সার কথা জানহ কল্যাণ, . একই আত্মা সৰ্ব্বভুতে রহেন সমান। so ( বোম্বাই চিত্র ) তুলসীদাস—সাধু এবং কবি। ইনি ব্রাহ্মণকুলে জন্ম গ্রহণ পূর্বক উপযুক্ত বয়সে বিবাহাদি করিয়া সংসারী হন। স্ত্রীর প্রতি ইনি বড় অনুরক্ত ছিলেন। স্ত্রীর বিচ্ছেদ অসহ্য মনে করিয়া, তাহাকে পিত্রালয়ে পাঠাইতে সন্মত হইতেন না। একদ শ্বশুরের বিশেষ অনুরোধে স্ত্রীকে পিত্রালয়ে পাঠাইয়া দেন, কিন্তু স্বয়ং বাহনের সহিত গমন করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। এই আচরণে ইহঁার স্ত্রী অতীব তুঃখিত হষ্টয়া ইহঁাকে মৃত্যু ভৎসনা পূৰ্ব্বক প্রতিনিবৃত্ত হইতে অনুরোধ করিয়া বলেন— এত জান্তি যদি তব ঈশ্বরে হইত, _না জানি ভাগ্যের ফল তবে কি হইত। জ্ঞানোদয় হইল। স্ত্রীর প্রতি র্তাহার যে আসক্তি ছিল, তাহা ঈশ্বরে অর্পণ করিতে মনস্থ করিলেন। অতঃপর তুলসীদাস আর গৃহে প্রত্যাগমন না করিয়া ঈশ্বর-উদ্দেশে । বহির্গত হইলেন। অনবরত সাধন করিয়া ইনি ধৰ্ম্মপথে অগ্রসর হইলেন। কথিত আছে যে একটী স্ত্রীলোককে সহমরণে উদ্যত দেখিয়া, ইনি তাহাকে ধৰ্ম্মোপদেশ দিয়া সে কার্য্য হইতে নিবারণ করেন । সে স্ত্রীলোকটর মৃত বা মরণাপন্ন পতিও ইহঁার কৃপায় জীবিত হন। এই সংবাদে আকবর বাদসা ইহঁাকে কোনরূপ আশ্চৰ্য্য ক্রিয়া দেখাইতে অনুরোধ করেন। ইনি তাহাতে অস্বীকৃত হইলে কারাবন্দী হইয়৷ পরে মুক্তি লাভ করেন। তুলসীদাস হিন্দি ভাষায় রামচরিত প্রণয়ন করেন । ইহঁার সেই গ্রন্থ “তুলসী রামায়ণ” বলিয়া খ্যাত। নীতি বিষয়ক ইহার দোহাবলী বিখ্যাত । ( ভক্তমালা ) তুলসী—বিষ্ণুভক্ত মহিলা বিশেষ। ইনি ধৰ্ম্মধ্বজ রাজের ঔরসে মাধবীর গর্ভে জন্ম গ্রহণ করেন । ইনি অতীব ধাৰ্ম্মিক রমণী ছিলেন এবং যৌবনের প্রারম্ভে ভপশ্চরণে প্রবৃত্ত হন। একদা যোগস্থ গণেশ দেব%ৈ
