পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধ [ ১৯৭ ] রোদন করিতে লাগিলেন। গোপী অজস্র অশ্রু বর্ষণ করিয়া স্বামীর মহৎ কার্য্যে. যাহাতে বিঘ্ন উৎপন্ন না হয় তাহা করিতে কৃতনিশ্চয় হইলেন। তিনি স্বামীর মুখের জন্ত নিজ সুখ বিসর্জন দিলেন। একদা সিদ্ধার্থ নগর হইতে প্রমোদ কাননে যাইবার সময় জরাজরিত, মৃত, মুমূর্ষ ব্যক্তি, এবং ভিক্ষুকে দর্শন করিয়া মানবের দুঃখে গাঢ়তর কাতর হইলেন। নিত্য পদার্থের অন্বেষণে গৃহত্যাগ করাই স্থির করিলেন। ইতি মধ্যে ইহার একটী নবকুমার জন্মগ্রহণ করিল। সংসারে আরও একটা বন্ধন হইল বলিয়া ইনি মনে করিলেন। অতঃপর অতি কষ্ট্রে পিতার মত গ্রহণ করিয়া পুত্র জন্মিবার সপ্ত দিবসের রজনীতে শাক্যসিংহ গৃহত্যাগ করিলেন। উনত্রিংশ বর্ষ রয়সে সিদ্ধার্থ নিত্য পদার্থের অন্বেষণে অনিত্য সংসার ত্যাগ করিলেন। ইনি প্রথমে বৈশালী নগরে অড়ার পণ্ডিতের নিকট হিন্দু শাস্ত্রাদি পাঠ করেন। তৎপরে রাজগৃহে গমনপূর্বক তন্নি কটবৰ্ত্তী কোন শৈল গুহায় রুদ্রক নামক জনৈক ঋষির শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। কিছুকাল পরে ইনি উরুবিল্ল গ্রামে উপস্থিত হইয়া তন্নিকটবৰ্ত্তী উপবনে তপশ্চরণে প্রবৃত্ত হইলেন। এই সময় ইহার সহিত পাচজন সন্ন্যাসী মিলিত হইয়া শিষ্যের ছায় অবস্থান করিতে লাগিলেন। ইনি অতি কঠোর তপস্যায় রত হইয়া, ছয় বৎসর কাল অতিবাহিত করিলেন। সৌভাগ্যবান সিদ্ধার্থ সাধনায় সিদ্ধ হইয়া চিত্তের চঞ্চলতা দূরীভূত করিয়া আত্মার স্বরূপ জানিতে সমর্থ হইলেন। চিত্তের চাঞ্চল্যের সহিত ইচ্ছার নিৰ্ব্বাণ হইল। ইচ্ছার সহিত সুখের নিৰ্ব্বাণ, দুঃখের নির্বাণ, ইন্দ্রিয়গণের আধিপত্যের নির্বাণ হইল। সিদ্ধার্থ নিৰ্ব্বাণ প্রাপ্ত তইলেন। সিদ্ধাৰ্থ বুদ্ধ হইলেন। , বুদ্ধদেব স্বয়ং মুক্ত হইলেন। ইছার জীবনের একটা উদ্দেশু সাধিত হইল। এখন দ্বিতীয় উদ্দেশু সাধন-জন্তা-চেষ্টিত হইলেন। অপরকে মুক্তির পথে'লইয়া যাইতে হইবে। জন সাধারণের জন্য ইনি কৃতনিশ্চয় হইয়া প্রতিজ্ঞা করিলেন, “আমি ব্রহ্মতে স্থিতি করিয়া ধৰ্ম্মচক্র প্রবর্তিত করিব । এ ধৰ্ম্ম সকলেই গ্রাহ করিবে - জীবনের এই উদ্দেশু সাধন করিতে ইনি বোধিক্রমের আশ্রয় হইতে বহির্গত হইলেন। ইনি মৃগদাৰ ( বর্তমান সারনাথ—কাশীর তিন মাইল উত্তরে ) যাত্রা করিলেন তথায় উপস্থিত হইয়া ইহঁর পুৰ্ব্ব পঞ্চশিষ্যকে নূতন ধৰ্ম্মে প্রবর্তিত