পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হন । রাক্ষসের পতিব্ৰতা পত্নী বিন্দ ইহার রক্ষার্থ বিষ্ণুর আরাধনা করেন ; তাহাতে রাক্ষসের কোন ক্রমে বধ হয় না । দেবতাগণ বিষ্ণুর শরণাগত হইলে তিনি জলন্ধরের রূপ ধারণ পূৰ্ব্বক বিন্দার নিকট গমন করিয়া তাহার তপোভঙ্গ করেন। তখন রাক্ষস নিপতিত হয়। বিন্দী সমুদায় অবগত হইয়া বিষ্ণুকে শাপ দিতে উদ্যত হইলে, তিনি ইহাকে নিরস্ত করিয়া বলেন, “তুমি পতির সহমৃতা হইলে, তোমার ভস্ম হইতে যে বৃক্ষ উৎপন্ন হইবে সে সকল বিষ্ণুর স্বরূপ হইবে ; সেই বৃক্ষ পূজায় বিষ্ণু সন্তুষ্ট হইবেন।” বিন্দার ভস্ম হইতে অশ্বথ, তুলসী (?), ধাত্রী, ও পলাশ বৃক্ষ উৎপন্ন হয়।—(পদ্ম) অশ্বথামা—দ্রোণাচাৰ্য্য ও কৃপীর পুত্র। পিতার নিকট ইনি অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষা করেন। ইহঁার চপলতাদোষ হেতু, দ্রোণ ইহা অপেক্ষা অর্জুনকে সমধিক স্নেহ করিতেন । পিতার নিকট মহায়ু ব্রহ্মশির পাইয়া ইনি - अश्। अश्लोनिङ इन । जक्ष्शन्न [ Sa ] অশ্বখামা অজেয় হইবার বাসনায় অশ্বথামা কৃষ্ণের নিকট গমন পূর্বক ব্ৰহ্মশিরের পরিবর্তে র্তাহার সুদর্শনচক্র যাচঞা করেন। তিনি ইহঁার মনোভাব অবগত হইয়া চক্র উত্তোলন করিতে বলেন । তাহাতে অসমর্থ হইয়া ইনি লজ্জায় তথা হইতে প্রস্থান করেন । অশ্বথামা একজন প্রধান বীর ছিলেন। কিন্তু নিজ জীবনকে অত্যন্ত প্রিয়জ্ঞান করিতেন বলিয়া ইনি অর্জুনাদি মহাবীরদিগের সমকক্ষ হইতে পারেন নাই। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে দুৰ্য্যোধনের উরুভঙ্গের পর ইনি তাহার নিকট গমন করিয়া পাণ্ডববধে প্রতিশ্রুত হন। তদনন্তর দুৰ্য্যোধন দ্বারা সেনাপতির পদে অভিষিক্ত হইয়া কৃপাচাৰ্য্য ও কৃতবৰ্ম্মার সঙ্গে ইনি স্বীয় উদ্দেপ্ত সাধন করিতে যাত্রা করেন । রজনীযোগে কৃষ্ণ-পাণ্ডব-সাত্যকিবিহীন পাণ্ডবশিবিরে গমন পূর্বক সুষুপ্ত ধৃষ্টছম, শিখণ্ডী, দ্রৌপদীর পঞ্চপুত্র এবং পাণ্ডবপক্ষীয় যাবতীয় সৈন্ত বিনাশ করেন । অতঃপর দুৰ্য্যোধনের নিকট গমন করিয়া সমুদায় বিজ্ঞাপন করেন। দুৰ্য্যোধনের মৃত্যুর পর অশ্বখাম পাণ্ডবদিগের ভয়ে গঙ্গাতীরে ব্যাসের নিকট গমন করেন । দ্রৌপদীর উত্তেজনায় ভীম ইহাকে