পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রণজিৎ সিংহ [ ২৩৫ ] রম্ভা হইল। আত্মাধিকার দৃঢ়ভূত করিয়া ইনি রাজ্য প্রসারণে প্রবৃত্ত হই*লেন । • এই সময় মুলতান ও কাশ্মীর আফুগানদিগের অধীন ছিল । রণজিৎ আফগানদিগকে পরাজিত করিয়া মুলতান অধিকার করিলেন । অতঃপর কাশ্মীর জয়াভিলাষী হইলেন । সৈন্যসামন্ত সহ ইনি পথে অসীম বিঘ্নবাধা অতিক্রম করিয়া কাশ্মীরে উপস্থিত হইলেন । যুদ্ধে আফগান অধিপতিকে পরাজিত করিয়া, বহুকালের পর পৃথিবীর নন্দন কানন কাশ্মীরে হিন্দু পতাকা উডীয়মান করিলেন । অতঃপর রণজিৎ সৈন্তাসংখ্যা বৃদ্ধি করিয়া উৎকৃষ্ট শিক্ষায় শিক্ষিত AL করিতে যত্নবান হইলেন । এই জন্য ষ্টনি গুণবান ইউরোপবাসীদিগকে সৈণিকের কায্যে নিযুক্ত করিতেন। র্তাহারা ইহঁর সৈন্ত ইউরোপীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করেন। স্বীয় বলাবল বিবেচনা কবিয়া, রণজিৎ পেসওয়ার জয়ার্থ উৎসুক হইলেন। বহু শতাব্দী পর্য্যন্ত আফগানগণ সিন্দুনদ পার হইয়া ভারত আক্রমণ করিয়াছে | এখন ইনি তাহার প্রতিশোধ লইতে কৃতসংঙ্কল্প হইলেন। সসৈন্ত রণজিৎ পেসওয়ারে উপস্থিত হইলেন। আফগমগণ ইহার ধৃষ্টতায় ক্রুদ্ধ হইয়া দলে দলে শিখদিগের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান . হইল। নওশেরার ক্ষেত্রে উভয় সৈন্যে সাক্ষাৎ হয়। আফগানগণ প্রাণপণে যুদ্ধ করিয়া প্রথমতঃ শিখসৈন্ত বিধ্বস্ত প্রায় করিয়া তুলিল। তখন সৈন্যদিগকে উৎসাহিত করিবার জন্য রণজিৎ তরবারী গ্রহণে বিপক্ষের বুহে মধ্যে প্রবেশ করিলেম । সেই সময় ইহঁার সেনাপতি ফুলাসিংহ সসৈন্য বিপক্ষদল ভীষণবেশে আক্রমণ করিলেন। ইহঁাদের বীরত্ব দর্শনে উত্তেজিত হইয়া, সমুদায় শিখসৈন্য বিপক্ষ উপরে যুগপৎ পতিত হইয়া জয়লাভ করিল । পেসওয়ার অধিকার করিয়া, বণজিৎ লাহোরে প্রত্যাবর্তন করিলেন। রণজিৎ সিংহের সহিত ভারতের ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের বন্ধুত্ব স্থাপিত হয়। ইহার জীবিত কালে সেই মিত্ৰত অক্ষুণ্ণ ছিল । ১৮৩৯ খৃষ্টাব্দে মহাবীর রণজিতসিংহ মানবলীলা সম্বরণ করেন। (ইতিহাস) রতি—কামদেবের স্ত্রী। হরকোপানলে মদন ভস্মীভূত হইলে, ইনি দেবাদেশে শম্বর দৈত্যের ভবনে মায়াবতী নামে অবস্থান করেন। (হরি) রন্ত–অপ্সরা বিশেষ । ইনি ইন্দ্রের - অাদেশে বিশ্বামিত্রের তপস্যার বিস্তু উৎপাদন করিত্বে চেষ্টত হইয়া