পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত শেষ হয়। কিন্তু নিজের অসাধারণ বিদ্যানুরাগ হেতু ইনি পরে সংস্কৃত ও বাঙ্গালা ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন। কলিকাতায় আগমন পূর্বক ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত ১২৩৯ সালে “সংবাদ প্রভাকর” নামে বাঙ্গালা সংবাদপত্র প্রকাশ করেন। এই কাগজে প্রকাশিত ইহার কবিতা সকলের মন মুগ্ধ করিতে লাগিল । “সাধুরঞ্জন” ও “পাষণ্ডপীড়ন’ নামে ইহঁর আর দুই খানি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র ছিল । যত্ন ও পরিশ্রম সহকারে ইনি ভারতচন্দ্র, রাম প্রসাদ রামবসু, নিতাই দাস প্রভৃতি বঙ্গের কবিদিগের জীবনী সংগ্ৰহ করিয়া প্রভাকরে প্রকাশ করেন । ১২৬৫ সালে কবিবরের পরলোক প্রপ্তি হয় । ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তই প্রথম নিজের লেখনীর উপর নির্ভর করিয়া জীবন যাপন করেন। ইনি বিলক্ষণ অর্থোপার্জন এবং সমাজে প্রতিপত্তি লাভ করিয়াছিলেন । উচ্চ শ্রেণীর কবি না হইলেও ইনি একজন স্বভাবজাত কবি। ইহার রচনা অতি প্রাঞ্জল, কিন্তু অনুপ্রাসের ভারে মধ্যে মধ্যে বড় পীড়িত । হাস্তরসে ইনি অদ্বিতীয় | (কবিতাসংগ্রহ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর—হিন্দুশাস্ত্র মতে বাল-বিধবাদিগের পুনৰ্ব্বিবাহ [ २¢ ] ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রথা প্রবর্তক। ইনি বঙ্গের বিখ্যাত বিদ্বান, বদাম্ভ, ও সহৃদয়বান লোক ছিলেন । হুগলি জেলার অন্তর্গত বীরসিংহ নামক গ্রামে ১২২৭ সালে ইহার জন্ম হয়। ইহার পিতা ঠাকুরদাস বন্দোপাধ্যায় কৰ্ম্মোপলক্ষে কলিকাতায় থাকিতেন । র্তাহার আয় এতাদৃশ ছিল না যে তিনি পরিবার বর্গ সঙ্গে রাখেন। সুতরাং বালক ঈশ্বরচন্দ্র মাতা ভগবতী দেবী ও পিতামহীর নিকট দেশেই রছিলেন । বাল্যে গ্রাম্য পাঠশালায় শিক্ষিত হইয়া নয়বৎসর বয়সে ইনি পিতার সহিত কলিকাতায় আগমন করিয়া, ইং ১৮২৯ সালে সংস্কৃত কলেজে প্রবিষ্ট হন। ঐকান্তিক যত্ন ও বিশেষ পরিশ্রম সহকারে অধ্যয়ন করিয়া ঈশ্বরচন্দ্র উৎকৃষ্ট ছাত্রের মধ্যে পরিগণিত হইলেন। অতি ংসার সহিত ১৮৪৩ খৃষ্টাব্দে ইনি শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া “বিদ্যাসাগর” উপাধি প্রাপ্ত হন । ১৮৪৭ খৃষ্টাব্দে বিদ্যাসাগর মহাশয় কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইয়া ক্রমে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষের পদ প্রাপ্ত হন। ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষতা স্বত্তে ও ইনি হুগলি, বৰ্দ্ধমান, নদীয়া ও মেদিনীপুর এই জেলা চতুষ্টয়ের স্কুল সমুহের অতিরিক্ত ইনেস্পেক্টর হন। এই