পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণ [ &8 J কৃষ্ণ ব্ৰজবাসীগণ ইহঁাকে বড় ভাল বাসিতেন এবং ইহার বাধ্য হইয়াছিলেন। দুবৃত্ত কংস প্রেরিত পূতনা, তৃণাবর্ত, অব, অরিষ্ট প্রভৃতি অসুরদিগকে ইনি বিনাশ করেন । কালিয় সপ দমন করিয়া কালিন্দীর জল নিরাপদ করিয়াছিলেন । ইহার পরামশে গোপগণ ব্ৰজধাম পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক অপেক্ষাকৃত উত্তম স্থান বৃন্দাবনে গমন করেন । চর দ্বারা কৃষ্ণবলরামকে বিনাশ করিতে অসমর্থ হইলে, কংস ধনুযজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়া তাহাদিগকে আনয়ন জন্য অক্রুরকে বুন্দাবনে প্রেরণ করেন। কৃষ্ণ অক্রুরের নিকট কংসের অত্যাচার অবগত হইরা তাহাকে বধ করিবার জন্ত বলরাম সহ মথুরায় গমন করিলেন। র্তাহাদের বিনাশার্থ নিয়োজিত হস্তী ও মল্ল বিনাশ করিয়া, দুই ভ্রাতা রাজসভায় উপস্থিত হইলেন। তথায় ংসের দ্বারা আক্রান্ত হইয়া, কৃষ্ণ তাহাকে বিনাশ করিলেন । অতঃপর উগ্ৰসেন প্রমূখ যাদববৃন্দ, কৃষ্ণকে মথুরার শূন্ত সিংহাসনে আরোহণ করিতে বলিলে, তিনি উত্তর করিলেন, “আমার রাজ্যে আবশ্যক বা নুপাসনে আকাঙ্ক্ষা নাই ।” পরে ইনি উগ্রসেনকে মথুরার রাজা করিয়া নিজে অন্তান্ত যাদবগণের দ্যায় অবস্থান করিতে লাগিলেন। অতঃপর শিক্ষার্থ কৃষ্ণ বলরামসহ কাশীর সন্নিহিত অবন্তীপুরে আচার্ষ্য সান্দীপনির নিকট উপস্থিত হই । লেন। গুরুগৃহে অবস্থান পূৰ্ব্বক ভ্রাতৃদ্বয় শাস্ত্রে ও শস্ত্রে পারদর্শিত লাভ করিলেন । কথিত আছে যে পঞ্চজন নামে এক দৈত্য সান্দীপনির পুত্র হরণ করে। গুরুদক্ষিণ স্বরূপ আচার্ষ্য সেই পুত্ৰ কামনা করিলে, কৃষ্ণবলরাম দৈত্যকে বিনাশ করিয়া গুরুপুত্র আনয়ন করেন। এই দৈত্য বধ করিয়া কৃষ্ণ পাঞ্চজন্য নামে শঙ্খ প্রাপ্ত হন । তদনন্তর তাহারা মথুরায় প্রত্যাগমন করিলেন। জরাসন্ধ জামাতৃকংস-বধে কোপান্বিত হইয়া কৃষ্ণপ্রমুখ যাদবদিগব বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করেন । বিংশ অক্ষৌহিণী সৈন্য লইয়া তিনি ক্রমাগত অষ্টাদশ বার মথুরা অবরোধ করেন । কিন্তু কৃষ্ণের বীরত্বে এবং কৌশলে, তাহাকে প্রত্যেক বারই পরাজিত হইয়া প্রত্যাগমন করিতে হইয়াছিল। তখন জরাসন্ধ কালযবনের সাহায্য লইলেন । দুই প্রবল শক্রর সহিত যুদ্ধে লোকক্ষয় করা অপেক্ষা বাসস্থান ত্যাগ করা যুক্তিযুক্ত বিবেচনায়, কৃষ্ণ যাদবগণকে পরামর্শ দিয়া দূরস্থিত দ্বারকায় লইয়া যান। পরে স্বয়ং মথু