পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

di R8 জীবনী-সংগ্ৰহ। vys”vTururv"uY'xy's" দেহ ও মেরুদণ্ড সরল করিয়া দক্ষিণ পদ বাম উরু ও জানুর মধ্যে এবং বাম পদ দক্ষিণ উরু ও জানুর মধ্যস্থলে স্থাপন করিয়া প্ৰাণায়মানুষ্ঠানপূর্বক পরমব্রহ্মে চিত্তস্থাপন করাকে স্বস্তিকাসন বলে। দেহ ও মেরুদণ্ড সরল করিয়া গুলফদয় বিপরীত ভাবে কোষের নিম্নভাগে স্থাপন করিয়া, বাম হস্ত দ্বারা পৃষ্ঠদেশ হইতে বাম পদের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ এবং দক্ষিণ হস্ত দ্বারা ঐরূপে দক্ষিণ পদের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ ধরিতে হইবে। পরে কণ্ঠ সঙ্কোচ করিয়া বক্ষোপরি চিবুক স্থাপন করত; চক্ষুদ্বয় দ্বারা এককালে নাসিকার অগ্রভাগ নিরীক্ষণ করিতে করিতে প্ৰাণায়মানুষ্ঠানপূৰ্ব্বক পরমব্ৰহ্ম চিন্তা করিতে হইবে ; ইহাকে ভদ্রাসন বলে। এই চারিটা আসনের যে কোন আসনে বসিয়া তিন ঘণ্টা ধ্যানে | নিমগ্ন থাকিতে পারিলেই তাহার আসন সিদ্ধ হইল। এইরূপে যোগসাধন করিতে করিতে আপনিই সমাধি হইবে। উষাকাল এবং সন্ধ্যা কালই যোগের প্রশস্ত সময় । প্রশ্ন—মুদ্রা কত রকম আছে, আর তাহাদের নামই বা কি ? উত্তর—মুদ্রা পঞ্চবিংশতি প্রকার। তাহার মধ্যে মহামুদ্রা, খেচরী, শক্তিচালিনী, মহাবিন্ধ, বিপরীতকরণী, জালন্ধর বন্ধ, মহাবোধ, উডয়ন, মূল্যবন্ধ এবং বজোণী প্রধান। বাম গুলফ দ্বারা গুহাদেশ বিশেষরূপে আবদ্ধ করিয়া, দক্ষিণ চরণ প্রসারণ করিয়া হস্তাঙ্গুলি দ্বারা চরণাঙ্গুলি ধরিতে হইবে। পরে বক্ষঃস্থলে চিবুক সংস্থাপন করিয়া দুই চক্ষু দ্বারাই একবারে ভ্ৰযুগলের মধ্যভাগ দেখিতে হইবে। ইহাকেই মহামুদ্রা বলে। জিহবাকে প্রথমতঃ নবনী দ্বারা দোহন করিয়া টানিয়া এরূপ দীর্ঘ করিতে হইবে যে, অনায়াসে তদ্বারা ভ্ৰমধ্যভাগ স্পর্শ করা যায়। জিহবা ভ্ৰমধ্য স্পর্শোপযোগী হইলে নিভৃত স্থলে গমন করিয়া বজাসনে উপবেশন