পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু তুলসীদাস। \وی( তুলসীদাসের সহিত হত্যাকারীর সাক্ষাৎ হয়। তুলসীদাস তাহাকে “রাম নাম” জপ করিতে উপদেশ দেন। কয়েক মাস কাল একাগ্ৰচিত্ত হইয়া রাম নাম জপ করিবার পর, তুলসীদাস তাহাকে বলেন, “তোমার পাপক্ষয় হইয়াছে, আইস, আমরা দুইজনে একত্রে আহার করি।” প্ৰধান প্ৰধান পণ্ডিতগণ তুলসীদাসকে হত্যাকারীর সহিত আহার করিতে দেখিয়া তাহার প্ৰতি অসন্তুষ্ট হন এবং ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। পণ্ডিতদিগের কথায় তুলসীদাস বলিয়াছিলেন যে, “রাম নাম জপ করিয়া হত্যাকারী পাপ •হইতে মুক্তিলাভ করিয়াছে; আপনার ইচ্ছা করিলে পরীক্ষা করিতে পারেন।” তুলসীদাসের কথায় পণ্ডিতগণ একত্রে মিলিত হইয়া এই উপাস স্থির করেন যে, “যদি বিশ্বেশ্বরের প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত বৃষ ঐ হত্যাকারীর হস্ত হইতে খাদ্যদ্ৰৰ্য ভক্ষণ করে, তাহা হইলে জানিব যে, ঐ ব্যক্তি পাপ হইতে মুক্ত হইয়াছে।” তুলসীদাস পণ্ডিতদিগের কথায় সম্মত হইয়া, হত্যাকারীর সহিত পণ্ডিতদিগকে লইয়া বিশ্বেশ্বরের মন্দিরে আসিয়া উপস্থিত হন। তথায় তিনি পরীক্ষার্থীর হস্তে খাদ্য প্ৰদান করিয়া সর্বসমক্ষে প্ৰস্তুরনিৰ্ম্মিত বৃষের সম্মুখে তাহ ধরিতে বলেন। তুলসীদাসের কথায় হত্যাকারী বৃষের মুখে খাদ্য ধরিবামাত্র ঐ বৃষ জীবিত বৃষের ন্যায় সমস্ত খাদ্য ভক্ষণ করিয়া ফেলে। এই বিস্ময়কর ঘটনা দর্শন করিয়া সকলেই তুলসীদাসকে ঈশ্বরের অংশ মনে করেন এবং সেই অবধি তাহার উপর সকলের প্রগাঢ় ভক্তির সঞ্চার হয়। তুলসীদাসের ভক্তগণ তুলসীদাসের ব্যবহারের জন্য স্বর্ণ-রৌপাদিনিৰ্ম্মিত কয়েকটী পাত্র এবং তাঁহার ইষ্টদেব রামচন্দ্রকে কিছু অলঙ্কার প্রদান করিয়াছিলেন। একজন তস্কর ঐ সকল দ্রব্য অপহরণ করিবার মানসে তাহার আশ্রম-মধ্যে প্রবেশ করে। তস্কর তুলসীদাসকে ধ্যানমগ্ন দেখিয়া স্বীকাৰ্য্যসিদ্ধির জন্য যেমন হস্ত প্রসারণ করিতে যাইবে, অমনি দেখে যে, অনুপম