পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5 ዓ e জীবনী-সংগ্ৰহ। উপায় করিয়া দিবেন। যে ব্যক্তি র্তাহার শরণাগত হয়, তাহার। আর নিজের উদ্ধারের উপায় নিজেকে করিয়া লইতে হয় না। তুমি তাহার চরণে মন সমৰ্পণ করিয়া নিশ্চিন্তমনে গৃহে প্ৰত্যাগমন কর।” রঘুনাথ, চৈতন্যদেবের নিকট হইতে গুঢ় স্নেহপূর্ণ উপদেশ প্রাপ্ত হইয়া আপনাকে সৌভাগ্যবান মনে করিতে লাগিলেন, এবং তঁহার আজ্ঞা প্ৰতিপালনে যত্নবান হইলেন। ইনি গৃহে আসিয়া বিষয়কাৰ্য্যের ভারগ্রহণ করেন। রঘুনাথ, পিতা ও পিতৃব্যের পরিশ্রমের কার্য্যসকলের ভারগ্রহণ করিয়া, কিছুকাল পরম সুখে অতিবাহিত করেন। এক দিবস রঘুনাথ শুনিলেন যে, নিত্যানন্দ কলিকাতার চারি ক্রোশ উত্তরে পানিহাটী গ্রামে হরিনাম প্রাচার করিয়া বেড়াইতেছেন, ইহা শুনিবা মাত্র রঘুনাথ তথায় যাইবার জন্য পিতার মত প্রার্থনা করেন। গোবৰ্দ্ধন মত দিলেন বটে। কিন্তু তঁহার স্ত্রী প্ৰাণাধিক সন্তানকে ভক্তদলে মিশিতে বারণ করিলেন। সহধৰ্ম্মিণীর উত্তরে গোবৰ্দ্ধন দাস বলিলেন, “পুত্রের যখন ধৰ্ম্ম-গীত-প্ৰাণ, তখন একাদিক্ৰমে সাধুসঙ্গ হইতে বঞ্চিত রাখাও উচিত নহে, তাহাতে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাইয়া বরং আরও অনিষ্ট ঘটতে পারে।” গোবৰ্দ্ধন সহধৰ্ম্মিণীকে এইরূপ বুঝাইয়া উভয়ে রঘু নাথকে পাণিহাটী গ্রামে যাইতে আদেশ করেন। মাতাপিতার আদেশ পাইয়া রঘুনাথ নিত্যানন্দের সহিত মিলিত হন। রঘুনাথ নিতাইএর পদে প্ৰণাম করিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে বলেন, “প্ৰভু আমি অতি নরাধম, আমার মনে চৈতন্যদেবের পাদপদ্মলাভের বাসনা কেন যে উদিত হইয়াছে, তাহা বলিতে পারি না। আমি নিজ চেষ্টায় সম্পূর্ণ বিফল হইয়া আপনার শ্ৰীচরণ ভরসা করিতেছি, আপনার কৃপা ব্যতিরেকে আমার শ্ৰীচৈতন্য লাভের আশা নাই। আপনি একবার এই অধমের মস্তকে পদাৰ্পণ कब्रिम्रां अौदांग कब्रिएल अभि निष्ठि श्ल्ड श्रांद्धि।”