পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সময় কাছে পৰ্যন্ত যায় নি, কেবল ভুবনবাবুৱা সাত-আট জন রুখে তেড়ে এলে তার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল, এ কথাও কেউ বিশ্বাস করবে না। কিন্তু কি আসত যেত তাতে ? লোক নয় বিশ্বাস করত দল বেঁধেই সে হাঙ্গামা করতে গিয়েছিল, রাখালকে মেরেছিল । রাখালকে মেরেছে। এ কথা তো সে অস্বীকার করতে চায় নি, সেজন্য সভায় দুঃখ প্ৰকাশ করতে সে রাজি হয়েছিল অনন্তের কাছে, দুঃখ প্ৰকাশও করেছে। ভুবনবাবুৱা তার গুরুজনের মত, BBB DDD DDY S DBDBBDS BDD DBB BiD D BDB KBDBD DLD ব্যবহারকে বেয়াদপি মনে করে ওদের মনে যদি আঘাত লেগে থাকে, ওদের কাছেও সে নয়। দুঃখ প্ৰকাশ করত ! 444 তার বদলে বিশ্ৰী দোষে সে দোষী হল, ভীরু কাপুরুষ দাড়িয়ে গেল সবার চোখে । সে যে মামার কাছ থেকে স্লিপ নিয়ে এসেছিল, সে কথা উঠল না। সবাই জানল, রাখাল তাকে দয়া করে কিছুদিন লাইব্রেরির বই পড়তে দিয়েছিল, অনুগ্রহটি বন্ধ করায় হীন অকৃতজ্ঞ বখাটে ছোড়া সে, দল বেঁধে এসে রাখালকে মেরেছে। রাখাল তাকে গাল দিয়েছিল, এ সব বাজে সাফাই গেয়ে SS foOCCB sids S CSCRCB আরও জানল সবাই, অনন্তের কুটিল ব্যারিস্টারি চালবাজির ফলে সহজে রেহাইও পেয়েছে। সে সভায় না এলে যেন কেউ তার কিছু করতে পারত, কোর্টে নালিশ করা ছাড়া । ভৈরব পারে নি, অনন্ত তাকে রাজি করিয়েছিল । তাও ক্ষমা চাইতে নয়, দুঃখ প্ৰকাশ করতে। রাখালের জন্য তার সত্যই দুঃখ হয়েছিল, মার খেয়ে তাকে এলিয়ে পড়তে দেখে খেয়াল হয়েছিল, কি রোগ দুর্বল একজনকে সে মেরেছে। অনন্ত সকলকে বোকা বানিয়েছে, তাকেও ঠকিয়েছে। কি প্ৰশ্ন জিজ্ঞাসা করলে সে কি জবাব দেবে, অনন্ত যখন তাকে শিখিয়ে দিয়েছিল, তখনও সে বুঝতে পারে নি। তার আসল মতলব। সে ভেবেছিল এমনি জিজ্ঞাসাবাদের ভেতর দিয়ে আজেবাজে কথা বাদ দিয়ে অনন্ত যেটা আসল কথা, প্ৰধান কথা সমস্ত ব্যাপারটার, যা সত্যিকারের মানে তার কাজের, তাই টেনে বার Σ δ