পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া ও ঈশ্বরধারণার ক্রমবিকাশ । করিতেন না । এই সকল দেবতা সম্বন্ধেও তদ্রুপ ; ইহারাও উপস্থিত প্রবৃত্তির অধীন ছিলেন। ইন্দ্ৰ আসিলেন, আর দৈত্যবল ছিন্ন ভিন্ন করিয়া দিলেন। জিহোভা কাহারও প্রতি সন্তুষ্ট, কাহারও প্রতি বা রুষ্ট ; কেন--তাহ কেহ জানে না, জিজ্ঞাসাও করে না । ইহার কারণ, তখন অনুসন্ধানের প্রবৃত্তিই লোকের জাগরূক হয় নাই ; সুতরাং তিনি যাহা করেন, তাহাই ভাল । তখন ভালমন্দের কোন ধারণাই হয় নাই । আমরা যাহাকে মন্দ বলি, দেবতারা এমন অনেক কায করিতেছেন ; বেদে দেখিতে পাই,—ইন্দ্র ও অন্যান্ত দেবতারা অনেক মন্দ কাষ করিতেছেন, কিন্তু ইন্দ্রের উপাসকদিগের দৃষ্টিতে পাপ বা অসৎ কাৰ্য্য কিছু ছিল না, সুতরাং উহার সে সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন করিতেন না । নৈতিক ভাবের উন্নতির সহিত মানুষের মনে এক যুদ্ধ বাধিল ; মানুষের ভিতরে যেন একটী নুতন ইন্দ্রিয়ের আবির্ভাব হইল। ভিন্ন ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন ভিন্ন জাতি উহাকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করিয়াছেন ; কেহ কেহ বলেন,—উহা ঈশ্বরের বাণী ; কেহ কেহ বলেন,—উহা পূৰ্ব্ব শিক্ষার ফল। যাহাই হউক, উহা প্রবৃত্তির দমনকারী শক্তিরূপে কাৰ্য্য করিয়াছিল । আমাদের মনের একট প্রবৃত্তিতে বলে-এই কায কর, আর একটী বলে,— করিও না। আমাদের ভিতরে কতকগুলি প্রবৃত্তি আছে, সেগুলি ইঞ্জিয়ের মধ্য দিয়া বাহিরে যাইবার চেষ্টা করিতেছে ; আর তাহার পশ্চাতে, যতই ক্ষীণ হউক না কেন, আর একটা স্বর বলিতেছে—বাহিরে যাইও না। এই দুইটী ব্যাপারের সংস্কৃত 3 న . . .