পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । “ :j , নাম—প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তি। প্রবৃত্তিই আমাদের সকল করে । মূল । নিবৃত্তি হইতেই ধৰ্ম্মের উদ্ভব। ধৰ্ম্ম আরম্ভ হয়, এই “করিও না” হইতে ; আধ্যাত্মিকতাও ঐ “করিও না” হইতেই আরম্ভ হয়। যেখানে এই "করিও না” নাই, সেখানে ধৰ্ম্মের আরম্ভই হয় নাই, বুঝিতে হইবে। এই “করিও না” – এই নিবৃত্তির ভাব আসিল । মামুষের ধারণা—তাহীদের যুদ্ধশীল পাশব প্রকৃতি দেবতাসত্ত্বেও উন্নত হইতে লাগিল । এক্ষণে মানুষের হৃদয়ে একটু ভালবাসা প্রবেশ করিল। অবশ্ল্য খুব অল্প ভালবাসাই তাহাদের হৃদয়ে আসিয়াছিল, আর এখনও যে উহা বড় বেশী, তাহা নহে। প্রথম উহা জাতিতে বদ্ধ ছিল : এই দেবগণ কেবল তাহদের সম্প্রদায়কেই মাত্র ভাল বাসিতেন । প্রত্যেক দেবতাই জাতীয় দেবতামাত্রই ছিলেন, কেবল সেট বিশেষ জাতির রক্ষকমাত্রই ছিলেন। আর অনেক সময় ঐ জাতির অঙ্গেরা আপনাদিগকে ঐ দেবতার বংশধর বলিয়া বিবেচনা করিত, যেমন ভিন্ন ভিন্ন দেশের বিভিন্নবংশীয়ের আপনাদিগকে তাহদের এক সাধারণ গোষ্ঠীপতির বংশধর বলিয়া বিবেচনা করিয়া থাকে। প্রাচীন কালে কতকগুলি জাতি ছিল, এখনও আছে, যাহারা আপনাদিগকে স্বৰ্য্য ও চন্দ্রের বংশধর বলিয়া বিবেচনা করিত। প্রাচীন সংস্কৃত গ্ৰন্থসকলে আপনার কুৰ্য্যবংশের বড় বড় বীর সম্রাটুগণের কথা পাঠ করিয়াছেন। ইহার প্রথমে চন্দ্র-সুৰ্য্যের উপাসক ছিলেন ; ক্রমশঃ আপনাদিগকে ঐ চন্দ্রস্বর্ঘ্যের বংশধর বলিয়া বিবেচনা করিতে লাগিলে । সুতরাং যখন এই জাতীয় ভাব আসিতে লাগিল, তখন একটু । X > 0