পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া ও ঈশ্বরধারণার ক্রমবিকাশ । ভালবাসা আসিল, পরস্পরের প্রতি একটু কৰ্ত্তব্যের ভাব আসিল, একটু সামাজিক শৃঙ্খলার উৎপত্তি হইল, আর অমনি এই ভাবও আসিতে লাগিল, আমরা পরস্পরের দোষ সহ ও ক্ষমা না করিয়া, কিরূপে একত্র বাস করিতে পারি ? মানুষ কি করিয়া, অন্তত: কোন না কোন সময়ে নিজ মনের প্রবৃত্তি সংযম না করিয়া, অপরের—এমন কি, এক জনেরও সহিত বাস করিতে পারে ? উহা অসম্ভব। এইরূপেই সংযমের ভাব আইসে। এই সংঘমের ভাবের উপর সমুদয় সমাজ গ্রথিত, আর আমরা জানি, যে নর বা নারী এই সহিষ্ণুতা বা ক্ষমারূপ মহতী শিক্ষা আয়ত্ত না করিয়াছেন, তিনি অতি কষ্ট্রে জীবন যাপন করেন। . অতএব যখন এইরূপ ধর্থের ভাব আসিল, তখন মানুষের মনে কিছু উচ্চতর, অপেক্ষাকৃত অধিক নীতিসঙ্গত একটু ভাবের আভাষ আসিল। তখন তাহাদের ঐ প্রাচীন দেবগণকে-চঞ্চল, সমরপরায়ণ, মদ্যপায়ী, গোমাংসভুক্‌ দেবগণকে—যাহাদের দগ্ধ মাংসের গন্ধে এবং তীব্র সুরার আহুতিতেই পরম আনন্দ ছিল— কেমন গোলমেলে ঠেকিতে লাগিল। দৃষ্টান্তস্বরূপ দেখ—বেদে । বর্ণিত আছে যে, কখন কখন ইন্দ্র হয়ত এত মদ্যপান করিতেছেন যে, তিনি মাটীতে পড়িয়া অবোধ্যভাবে বকিতে আরম্ভ করিলেন । এরূপ দেবতায় আর লোকের বিশ্বাস স্থাপন অসম্ভব হইল। তখন সকলেরই অভিসন্ধি অন্বেষিত—জিজ্ঞাসিত হইতে আরম্ভ হইয়াছিল—দেবতাদেরও কার্য্যের অভিসন্ধি জিজ্ঞাসিত হইতে লাগিল। অমুক দেবতার অমুক কাৰ্য্যের হেতু কি ? কোন হেতুই পাওয়া গেল না। সুতরাং লোকে এই সকল Σ Σ Σ