পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া ও মুক্তি । এই ৰাণী শুনিতে পাইলে কি হয় ? তখন আমাদের সন্মুখস্থ দৃপ্ত পরিবর্ধিত হইতে থাকে। যখনই তুমি ঐ স্বরকে জানিতে পারবুঝিতে পার যে, উহা কি, তখন তোমার সন্মুখস্থ সমুদয় দৃশুই পরিবর্তিত হইয়া যায়। এই জগৎ, যাহা পূৰ্ব্বে মায়ার বীভৎস যুদ্ধক্ষেত্র ছিল, তাহা আর কিছুতে—অপেক্ষাকৃত সৌন্দৰ্য্যপূর্ণ, সুন্দরতর কিছুতে পরিণত হইয়া যায়। প্রকৃতিকে অভিসম্পাত করিবার তখন আর আমাদের কিছু প্রয়োজন থাকে না, জগৎ অতি বীভৎস অথবা এসমু দয়ই বৃথা-ইহা বলিবারও আমাদের প্রয়োজন থাকে না, আমাদের কাদিবার অথবা বিলাপ করিবারও কোন প্রয়োজন থাকে না । যখনই তুমি ঐ স্বরকে জানিতে পার, তখনই তুমি বুঝিতে পার,— এই সকল চেষ্টা, এই সকল যুদ্ধ, প্রতিদ্বন্দ্বিত, এই গোলমাল, এই নিষ্ঠুরতা, এই সকল ক্ষুদ্র স্থখাদির প্রয়োজন কি। তখন বুঝিতে পারা যায় যে, উহার প্রকৃতির স্বভাববশতঃই ঘটিয়া থাকে—আমরা জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে সেই স্বরের দিকে অগ্রসর হইতেছি বলিয়াই এইগুলি ঘটিয়া থাকে। অতএব সমুদয় মানবজীবন, সমুদয় প্রকৃতি কেবল সেই মুক্তভাবকে অভিব্যক্ত করিতে চেষ্টা করিতেছে মাত্র ; স্বৰ্য্যও সেই দিকে চলিয়াছে, পৃথিবীও তজ্জন্ত স্বর্ঘ্যের চতুর্দিকে ভ্রমণ করিতেছে, চন্দ্রও তাই পৃথিবীর চতুর্দিকে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। সেই স্থানে উপস্থিত হইবার জন্ত সকল গ্রহ ভ্রমণ করিতেছে এবং পবনও বহিতেছে। সেই মুক্তির জন্ত বঙ্গ তীব্র নিনাদ করিতেছে, মৃত্যুও তাহারই জম্ভ চতুর্দিকে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। সকলেই সেই দিকে যাইবার জন্ত চেষ্টা করিতেছে। সাধুও সেই দিকে চলিয়াছেন, তিনি না গিয়া থাকিতে পারেন না, >8> -