পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । বর্ণনা করিতে পার না। ভগবানকে পিতা মাত ভ্রাতা বা প্রিয় বন্ধু বলিলে তাহাকে ‘বিষয়ীকৃত’ করিতে হয়—র্তাহাকে বাহিরে আনিয়া দেখিতে হয়—তাহা ত কখন হইতে পারে না । তিনি সকল বিষয়ের অনন্ত বিষয়ী। যেমন আমি চেয়ারখানি দেখিতেছি, আমি চেয়ারখানির দ্রষ্ট—অামি উহার বিষয়ী, তদ্রুপ ঈশ্বর আমার আত্মার নিত্যদ্রষ্টা—নিত্যজ্ঞাতা—নিত্যবিষয়ী । কিরূপে তুমি তাহাকে—তোমার জাত্মার অন্তরাত্মাকে—সকল বস্তুর সারসত্তাকে—"বিষয়ীকৃত’ করিবে—বাহিরে আনিয়া দেখিবে ? অতএব আমি তোমাদের নিকট পুনরায় বলিতেছি, ঈশ্বর জ্ঞেয়ও নহেন, অজ্ঞেয়ও নহেন, তিনি জ্ঞেয় অজ্ঞেয় হইতে অনন্তগুণ উচ্চে —তিনি আমাদের সহিত অভেদ, আর যাহা আমার সহিত এক, তাহা কখন আমার জ্ঞেয় বা অজ্ঞেয় হইতে পারে না, যেমন তোমার আত্মা, আমার আত্মা জ্ঞেয়ও নহে, অজ্ঞেয়ও নহে । তুমি তোমার আত্মাকে জানিতে পার না, তুমি উহাকে নাড়িতে চাড়িতে পার ন, অথবা উহাকে ‘বিষয়’ করিয়া উহাকে দৃষ্টিগোচর করিতে পার না, কারণ, তুমি নিজেই তাহাই, তুমি তোমাকে উহা হইতে পৃথক করিতে পার না। আবার উহাকে অজ্ঞেয়ও বলিতে পার না, কারণ, অজ্ঞেয় বলিতে গেলেও অগ্রে উহাকে ‘বিষয়’ করিতে হইবে—তাহা ত করা যায় না। আর তুমি নিজে যেমন তোমার নিকট পরিচিত—জ্ঞাত, আর কোন বস্তু তদপেক্ষ তোমার অধিক জ্ঞাত ? প্রকৃতপক্ষে উহ আমাদের জ্ঞানের কেন্দ্রস্বরূপ । ঠিক এই ভাবেই বলা যায় যে, ঈশ্বর জ্ঞাতও নহেন, অজ্ঞেয়ও নহেন, তদপেক্ষ অনন্ত Ꮌ©8