পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্ম ও জগৎ । গুণে উচ্চ, কারণ, তিনিই আমাদের আত্মার অন্তরাত্মা স্বরূপ { অতএব আমরা দেখিতেছি, প্রথমতঃ, পূৰ্ণব্রহ্মসত্তা হইতে কিরূপে জগৎ হইল এই প্রশ্নই স্ববিরোধী, আর দ্বিতীয়তঃ, আমরা দেখিতে পাই, অদ্বৈতবাদে ঈশ্বরের ধারণ এইরূপ একত্ব— সুতরাং আমরা তাহাকে ‘বিষয়ীকৃত করিতে পারি না, কারণ, জ্ঞাতসারেই হউক আর অজ্ঞাতসারেই হউক, আমরা সৰ্ব্বদাই র্তাহাতে সঞ্জীবিত এবং উহাতেই থাকিয়া সমুদয় কাৰ্য্যকলাপ করিতেছি। আমরা যাহা কিছু করিতেছি, সবই সৰ্ব্বদা তাহারই মধ্য দিয়া করিতেছি। এক্ষণে প্রশ্ন এই, দেশকালনিমিত্ত কি ? অদ্বৈতবাদের মৰ্ম্ম ত এই যে, একটা মাত্র বস্তু আছে, দুইটী নাই । এক্ষণে আবার কিন্তু বলা হইতেছে যে, সেই অনন্ত ব্ৰহ্ম দেশকালনিমিত্তের আবরণের দ্বারা নানারূপে প্রকাশ পাইতেছেন। অতএব এক্ষণে বোধ হইতেছে, দুইটী বস্তু আছে,-সেই অনন্ত ব্ৰহ্ম একটী বস্তু, আর মায়া অর্থাৎ দেশকালনিমিত্তের সমষ্টি আর এক বস্তু। আপাততঃ দুইটী বস্তু আছে, ইহাই যেন স্থিরসিদ্ধান্ত বলিয়া বোধ হয়। অদ্বৈতবাদী ইহার উত্তরে বলেন, বাস্তবিক ইহাতে দুই হয় না । দুটা বস্তু থাকিতে হইলে ব্রহ্মের ন্যায়—যাহার উপর কোন নিমিত্ত কাৰ্য্য করিতে পারে না,—এরূপ দুইটী স্বতন্ত্র বস্তু থাকা আবশ্যক। প্রথমতঃ, দেশকালনিমিত্তের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব আছে, বলা যাইতে পারে না। কাল আমাদের মনের প্রতি পরিবর্তনের সহিত পরিবর্ভূিত হইতেছে, সুতরাং উহার স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নাই। কখন কখন স্বপ্নে দেখা যায়, আমি যেন অনেক বৎসর জীবন ধারণ >Q(?