পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । বংশানুক্রমিক সঞ্চারবাদ বিনা প্রমাণেই একটা অদ্ভুত প্রতিজ্ঞ স্বীকার করিয়া থাকে যে, মনের সংস্কাররাশির ছাপ জড়ে থাকিতে পারে। যখন আমি তোমার,দিকে তাকাই, তখন আমার চিত্তত্বদে একটা তরঙ্গ উঠে। ঐ তরঙ্গ চলিয়া যায়, কিন্তু সূক্ষ্মরূপে তরঙ্গাকারে থাকে। আমরা ইহা বুঝিতে পারি। ভৌতিক সংস্কার যে শরীরে থাকিতে পারে, তাহাও আমরা বুঝি । কিন্তু শরীর ভগ্ন হইলেও যে মানসিক সংস্কার শরীরে বাস করে, তাহার প্রমাণ কি ? কিসের দ্বারা ঐ সংস্কার সঞ্চারিত হয় ? মনে কর, যেন মনের প্রত্যেক সংস্কার শরীরে বাস করা সম্ভব ; মনে কর, আদিম মনুষ্য হইতে আরম্ভ করিয়া বংশানুক্রমে সকল পূৰ্ব্বপুরুষের সংস্কার আমার পিতার শরীরে রহিয়াছে এবং পিতার শরীর হইতে অামাতে আসিতেছে। কিরূপে ? তোমরা বলিবে—জীবাণুকোষের ( Blo-plasmic cell) vini কিন্তু কি করিয়া ইহা সম্ভব হইবে, যেহেতু, পিতার শরীর ত সপ্তানে সম্পূর্ণ আসে না ? একই পিতামাতার অনেকগুলি সন্তানসন্ততি থাকিতে পারে । সুতরাং এই বংশানুক্রমিক সঞ্চারবাদ স্বীকার করিলে, ইহাও স্বীকার করা অবশুম্ভাবী হইয়া পড়ে যে, { কারণ, তাহদের মতে সঞ্চারক ও সঞ্চাৰ্য্য এক, অর্থাৎ ভৌতিক ) পিতামাত প্রত্যেক সস্তানের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তাহাদের নিজ মনোবৃত্তির কিঞ্চিদংশ খোয়াইবেন, আর যদি বল, তাহদের সমুদয় মনোবৃত্তিই সঞ্চারিত হয়, তবে বলিতে হয়, প্রথম সন্তানের জন্মের পরই তাহদের মন সম্পূর্ণরূপে শূন্ত যাইবে । - . . ২০৬ ।