পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ । আবার যদি জীবাণুকোষে চিরকালের অনন্ত সংস্কারসমষ্টি থাকে, তবে জিজ্ঞাস্ত এই, উহা কোথায় ও কিরূপেই বা থাকে ? ইহা একটী অত্যন্ত অসম্ভব প্রতিজ্ঞ, আর যতদিন না এই জড়বাদীরা প্রমাণ করিতে পারেন, কি করিয়া ঐ সংস্কার ঐ কোষে থাকিতে পারে, আর কোথায়ই বা থাকিতে পারে, এবং ‘মনোবৃত্তি ভৌতিক কোষে নিদ্রিত থাকে, এই বাক্যের অর্থ কি, ইহা যতদিন না তাহারা বুঝাইতে পারেন, ততদিন তাহদের প্রতিজ্ঞ স্বীকার করিয়া লওয়া যাইতে পারে না। এইটুকু বেশ স্পষ্ট বুঝা যায় যে, এই সংস্কার মনেরই মধ্যে বাস করে, মনই জন্মজন্মান্তর গ্রহণ করিতে আসে ; মনই আপন উপযোগী উপাদান গ্রহণ করে, আর ঐ মন যে শরীর-বিশেষ ধারণ করিবার উপযুক্ত কৰ্ম্ম করিয়াছে, যতদিন পর্য্যন্ত না উহ্য তন্নিৰ্ম্মাণোপযোগী উপাদান পাইতেছে, ততদিন উহাকে অপেক্ষা করিতে হইবে। ইহা আমরা বুঝিতে পারি । অতএব আত্মার দেহগঠনোপযোগী উপাদান প্রস্তুত করা, পৰ্য্যন্তই বংশানুক্রমিক সঞ্চারবাদ স্বীকার করা যাইতে পারে। আত্মা কিন্তু দেহের পর দেহ গ্রহণ করেন —শরীরের পর শরীর প্রস্তুত করেন ; আর আমরা যে কোন চিন্তা করি, যে কোন কাৰ্য্য করি, তাহাই স্বক্ষভাবে রহিয়া যায়, আবার সময় হইলেই উহার স্থল ব্যক্তভাব-ধারণোন্মুখ হয়। আমার যাহা বক্তব্য, তাহ তোমাদিগকে আরও স্পষ্ট করিয়া বলিতেছি। যখনই আমি তোমাদিগের দিকে দৃষ্টিপাত করি, তখনই আমার মনে একটা তরঙ্গ উঠে। উহা যেন চিত্তত্বদের ভিতর ডুবিয়া যায়, স্বক্ষাৎ স্বগ্নতর হইতে থাকে, কিন্তু উহা একেবারে ২০৭