পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ । বা নিম্নতর জীবশরীর পরিগ্রহ করিবে। এইরূপেই উহা অগ্রসর হইতে থাকিবে, যতদিন না উহার ভোগ শেষ হইয়া আবার ঘুরিয়া পূৰ্ব্বস্থানে প্রত্যাবৃত্ত হয়। তখনই উহা নিজের স্বরূপ জানিতে পারে, নিজে যথার্থ কি, তাহ বুঝিতে পারে। তখন সমুদয় অজ্ঞান চলিয়া যায়, উহার শক্তিসমূহ প্রকাশিত হয়। তিনি তখন সিদ্ধ হইয় যান, পূর্ণতা লাভ করেন, তখন তাহার পক্ষে স্থল শরীরের সাহায্যে কাৰ্য্য করিবার কোন আবঙ্গকতা থাকে না-সুশ্ন শরীরের দ্বারা কাৰ্য্য করিবারও আবশ্যকতা থাকে না । তিনি তখন স্বয়ংজ্যোতিঃ ও মুক্ত হইয়া যান, তাহার আর জন্ম বা মৃত্যু কিছুই হয় না। আমরা এ সম্বন্ধে এক্ষণে আর সবিশেষ আলোচনা করিক না। কিন্তু এই পুনর্জন্মবাদ সম্বন্ধে আর একটা কথা বলিয়াই নিবৃত্ত হইব । এই মতই কেবল জীবাত্মার স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া থাকে। এই মতই কেবল আমাদের সমুদয় দুৰ্ব্বলতার দোষ অপর কাহারও ঘাড়ে চাপায় না। নিজের দোষ পরের ঘাড়ে চাপানটা মানুষের সাধারণ দুৰ্ব্বলতা। আমরা নিজেদের । দোষ দেখিতে পাই না । চক্ষু কখন আপনাকে দেখিতে পায় না। উহা অপর সকলের চক্ষু দেখিতে পায়। মানব আমরা; আমাদের নিজেদের দুৰ্ব্বলতা—নিজেদের ক্রটি স্বীকার করিতে বড় নারাজ, যতক্ষণ আমাদের অপরের ঘাড়ে দোষ চাপাইবার সম্ভাবনা থাকে। মানুষ সাধারণতঃ নিজের দোষগুলি, নিজের । ভ্রমক্রটিগুলি তাহার প্রতিবেশীর ঘাড়ে চাপাইতে চায় ; তাহা যদি না পারে, তবে ঈশ্বরের ঘাড়ে দোষ চাপায় ; তাহা ন হইলে 4. ২০৯ へ 8