পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যন্ত্ৰণামোচনে সহায়তা করিতে হইবে ; অন্তস্থানে বিধবাদিগের কষ্ট অপসারণে যত্নবান হইতে হইবে। দেহের পুরাতন বাতব্যাধির ভার শিল্পঃস্থান হইতে তাড়িত হইয়া ইহা অঙ্গ আশ্রয় করিতেছে ; অঙ্গ হইতে পাদদেশ অধিকার করিতেছে। কেহ কেহ বা অপরাপেক্ষ ধনশালী হইয়াছেন--বিষ্ঠা, সম্পদ ও জ্ঞানানুশীলন, কেবল র্তাহদেরই সম্পত্তি হইয়াছে। জ্ঞান কি মহত্তর ও মনোহর, জ্ঞানাঙ্কুশীলন কি সুন্দর । ইহা কেবল কতিপয়ের করায়ত্ত ! এ চিন্তা ভয়ানক ! সংস্কারক আসিলেন এবং সাধারণের মধ্যে এই জ্ঞান বিস্তার করিলেন। ইহাতে জনসাধারণ এক হিসাবে কতকটা মুখী হইল বটে, কিন্তু জ্ঞানামুশীলন যতই অধিক হইতে । লাগিল, হয়ত শারীরিক সুখ ততই অস্তুষ্ঠিত হইতে লাগিল। এখন কোন পথ অবলম্বন করা যাইবে ? সুখের জ্ঞান হইতে অসুখের জ্ঞান যে আসিতেছে! আমরা যে যৎসামান্ত মুখ ভোগ করিতেছি, অন্ত কোথাও তাহ সেই পরিমাণে অসুখ উৎপাদন করিতেছে। সকল বস্তুরই এই অবস্থা। যুবকেরা হয়ত ইহ স্পষ্ট বুৰিতে পরিবেন না। কিন্তু যাহারা বহুদিন জীবিত আছেন, অনেক । বস্ত্রণা উপভোগ করিয়াছেন, তাহারা ইহা উপলব্ধি করিতে পরিবেন। ইহাই মায়। দিবারাত্র এই সকল ব্যাপার সংঘটিত হইতেছে, কিন্তু ইহার স্বমীমাংসা অসম্ভব। এইরূপ হইবার কারণ কি ? এ বিষয়ের ভায়সঙ্গত কোন প্রশ্নই প্রস্তুত হইতে পারে না; এজন্ত এ প্রশ্নের উত্তরও অসম্ভব। ইহার কারণাবধারণ হইতে পারে না। উত্তর করিবার পূর্বে, ইহার তাৎপর্যবোধই হইৰে স্থা,-ইছ কি, তাহ জানিতেই পারিব না। আমরা ইহাকে এক 35