পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । মুহূৰ্ত্তও স্থির রাখিতে পারি না, প্রতি মুহূর্তেই আমাদের হস্তবছিভূত হইতেছে। আমরা অন্ধ্যন্ত্রবৎ পরিচালিত হইতেছি। আমরা যে কখন কখন নিঃস্বার্থভাবে কাৰ্য্য করিয়াছি, পরোপকার চেষ্টা করিয়াছি, সেইগুলি স্মরণ করিয়া ভাবিতে পারি, কেন, ঐ কাৰ্য্যগুলি ত আমরা বুৰিয়া শুঝিয়া ভাবিয়া চিন্তিয়া করিয়াছিলাম, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা উহা না করিয়া থাকিতে পারি নাই বলিয়াই ঐক্কপ করিয়াছিলাম। আমাকে এই স্থানে দণ্ডায়মান থাকিয়, আপনাদিগকে বক্তৃতা দ্বারা উপদেশ দিতে হইতেছে, এবং আপনাদিগকে উপবেশনপূর্বক উহা শ্রবণ করিতে হইতেছে —ইহাও আমরা না করিয়া থাকিতে পারিতেছি না বলিয়া করি। তেছি। আপনার গৃহে প্রত্যাবৃত্ত হইবেন, হয়ত কেহ ইহা হইতে যৎসামান্ত শিক্ষালাভ করিবেন ; অপরে হয়ত মনে করিবেন, লোকটা অনর্থক বকিয়াছে ; আমি বাট যাইয়া ভাবিব, আমি বক্তৃতা দিয়াছি; ইহাই মায়া। - অতএব, এই সংসারগতির বর্ণনার নামই মায়। সাধারণতঃ লোকে এ কথা শ্রবণ করিলে ভীত হয়। আমাদিগকে সাহসী হইতে হইবে। অবস্থার বিষয় গোপন করিলে রোগ-প্রতিকার হইবে না। শশক যেরূপ কুকুর কর্তৃক অমুস্থত হইয়া নিয়ে মস্তক গোপন করতঃ আপনাকে নিরাপদ জ্ঞান করে, আমরা সুখাশ৷ বাদী বা নিরাশাবাদী ( Pessimist ) হইয়া অবিকল সেই শশকের স্থায় কাৰ্য্য করিতেছি। ইহা রোগমুক্তির ঔষধ নহে। অপর পক্ষে, ইহ জীবনের প্রাচুৰ্য, স্থখ ও স্বচ্ছন্দ-ভোগিগণ এই মায়াবাদসম্বন্ধে বিস্তর আপত্তি উত্থাপিত করেন। এদেশে— &●