পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । হইল ? স্থলের স্বক্ষভাবে পরিণতি। উহার উপাদান পরমাণু গুলি একত্র হইয়া গ্লাস নামক এই কার্য্যে পরিণত হইয়াছিল। উহারা আবার উহাদের কারণে চলিয়া যায়, আর ইহারই নাম নাশ–কারণে লয়। কাৰ্য্য কি ? না, কারণের ব্যক্তভাব। নতুবা কাৰ্য্য ও কারণে স্বরূপতঃ কোন ভেদ নাই। আবার ঐ গ্লাসের কথাই ধর । উহার উপদানগুলি এবং উহার নিৰ্ম্মাতার ইচ্ছার সহযোগে উহা উৎপন্ন। এই দুইটাই উহার কারণ এবং উহাতে বর্তমান । নিৰ্ম্মাতার ইচ্ছাশক্তি এক্ষণে উহাতে কি ভাবে বর্তমান ? সংহতিশক্তিরূপে । ঐ শক্তি না থাকিলে, উহার প্রত্যেক পরমাণু পৃথকৃ পৃথক্ হইয়া যাইত। তবে এক্ষণে কাৰ্য্যট কি হইল ? না, উহা কারণের সহিত অভেদ, কেবল উহা অার এক রূপ ধরিয়াছে মাত্র। যখন কারণ নির্দিষ্ট কালের জন্ত বা নির্দিষ্ট স্থানের ভিতর পরিণত, ঘনীভূত ও সীমাবদ্ধভাবে অবস্থান করে, তখন ঐ কারণটাকেই কাৰ্য্য বলে। আমাদের ইহা মনে করিয়া রাখা উচিত। এই তত্ত্বটীকে আমাদের জীবনের ধারণা সম্বন্ধে প্রযুক্ত করিয়া দেখিতে পাই যে, জীবাণু হইতে সম্পূর্ণতম মানব পৰ্য্যন্ত সমুদয় শ্রেণীই অবশ্য সেই বিশ্বব্যাপিণী প্রাণশক্তির সহিত অভেদ। কিন্তু অমৃতত্ব সম্বন্ধে প্রশ্ন এখানেও মিটিল না। আমরা কি পাইলাম ? আমরা পুৰ্ব্বোক্ত বিচার হইতে এই টুকু মাত্র পাইলাম যে, জগতের কিছুরই ধ্বংস হয় না। নতুনকিছুই নাই-কিছুই হইবে না। সেই একই প্রকারের বস্তুরাশি চক্রের স্তায় পুনঃপুনঃ উপস্থিত হইতেছে। জগতে যত গতি আছে, সবই তরঙ্গাকারে একবার উঠতেছে, একবার পড়িতেছে। ২১৮