পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতত্ব । কশাইএর দোকানের একথও মাংস কখন চৈতন্যবান নহে। আমরা চৈতন্য' শব্দে কি বুঝি ? প্রতিক্রিয়াশক্তি। আর একটু গভীরভাবে এই তত্ত্বটা আলোচনা কয়। যাক। সম্মুখে এই কুঁজাট আমি দেখিতেছি। এখানে ঘটিতেছে কি ? ঐ কুঁজী হইতে কতকগুলি আলোককিরণ আসিয়া আমার চক্ষে প্রবেশ করিতেছে। উহারা আমার অক্ষিজালের retina; উপর একটী চিত্র প্রক্ষেপ করিতেছে। আর ঐ ছবি যাইয়া আমার মস্তিক্ষে উপনীত হইতেছে। শারীরবিধানবিদগণ যাহদিগকে অনুভবাত্মক স্নায়ু বলেন, তাহাদিগের দ্বারা ঐ চিত্র ভিতরে মস্তিষ্কে নীত হয় । কিন্তু তথাপি তথন পৰ্য্যন্ত দর্শনক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় না । কারণ, এ পর্য্যন্ত ভিতর হইতে কোন প্রতিক্রিয় আসে নাই। মস্তিষ্কাভ্যস্তরীণ স্নায়ুকেন্দ্র উহাকে মনের নিকট লইয় যাইবে, আর মন উহার উপর প্রতিক্রিয়া করিবে । এই প্রতিক্রিয় হইবামাত্র ঐ কুঁজা আমার সম্মুখে ভাসিতে থাকিবে। একটা সহজ উদাহরণের দ্বারা ইহা অনায়াসেই উপলব্ধ হইবে। মনে কর, তুমি খুব একাগ্র হইয়া আমার কথা শুনিতেছ, আর একটি মশক তোমার নাসিকাগ্রে দংশন করিতেছে, কিন্তু তুমি আমার কথা শুনিতে এতদূর তন্মনস্ক যে, তুমি ঐ মশার কামড় মোটেই অনুভব করিতেছ না। এখানে কি ব্যাপার হইতেছে ? মশকট তোমার চামড়ার খানিকটা দংশন করিয়াছে ; সেই স্থানে অবশু কতকগুলি স্বায়ু আছে ; ঐ স্নাযুগুলি মস্তিক্ষে সংবাদ বহন করিয়া লইয়া গিয়াছে ; সেই বস্তুর চিত্র তথায় রহিয়াছে ; কিন্তু মন অন্যদিকে নিযুক্ত থাকাতে প্রতিক্রিয়া করে নাই, সুতরাং তুমি ২২৩