পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । মশকের দংশন টের পাও নাই। আমাদের সমক্ষে নূতন চিত্র আসিল,কিন্তু মন প্রতিক্রিয়া করিল না—এরূপ হইলে আমরা উহার সম্বন্ধে জানিতেই পারিব না,কিন্তু প্রতিক্রিয়া হইলেই, উহাদের জ্ঞান আসিবে—তখনই আমরা দেখিতে শুনিতে এবং অনুভব প্রভৃতি করিতে সমর্থ হুইব । এই প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞানের প্রকাশ হইয়া থাকে। অতএব আমরা বুঝিতেছি, শরীর কথন প্রকাশে সমর্থ নহে, কারণ, আমরা দেখিতেছি যে, যখন আমার মনোযোগ ছিল না, তখন আমি অনুভব করি নাই। এমন ঘূটনা জানা গিয়াছে, যাহাতে বিশেষ বিশেষ অবস্থায়, একজন ব্যক্তি যে ভাষা কখন শিথে নাই, সেই ভাষা কহিতে সমর্থ হইয়াছে। পরে অনুসন্ধান করিয়া জানা গিয়াছে, সেই ব্যক্তি অতি শৈশবাবস্থায় এমন এক জাতির ভিতর বাস করিত, যাহারা সেই ভাষা কহিত— সেই সংস্কার তাহার মস্তিষ্কের মধ্যে রহিয়া গিয়াছিল। সেইগুলি তথায় সঞ্চিত ছিল ; তৎপরে কোন কারণে মন প্রতিক্রিয়া করিলতখনই জ্ঞান আসিল, আর সেই ব্যক্তি সেই ভাষা কহিতে সমর্থ হইল। ইহাতেই আবার দেখা যাইতেছে, কেবল মনই পর্য্যাপ্ত নহে—মনও কাহারও হস্তে যন্ত্রমাত্র। ঐ লোকটর বাল্যাবস্থায় তাহার মনের ভিতর সেই ভাষা গুঢ়ভাবে ছিল—কিন্তু সে উহ জানিত না, কিন্তু অবশেষে এমন এক সময় আসিল, যখন সে উহ জানিতে পারিল । ইহা দ্বারা এই প্রমাণিত হইতেছে যে, মন ছাড়া আর কেহ আছেন—লোকটর শৈশব অবস্থায় সেই ‘আর কেহ ঐ শক্তির ব্যবহার করেন নাই, কিন্তু যখন সে বড় হইল, তখন তিনি উহার ব্যবহার করিলেন। প্রথম—এই শরীর, তৎপরে ૨૨8