। भांघ्र ! ব্যক্তিত্ব পরিহার করিতে ভয়ের উদ্রেক হয়, সময়ে তাহাদিগকে । দেখিয়া আমরা হাস্ত করিব। সকলেই স্বস্ব দেহ রক্ষণ করিতে ব্যগ্র, কেহই ইহা পরিত্যাগ করিতে ইচ্ছা করে না। এই দেহ যথেচ্ছ কাল পর্য্যন্ত রক্ষা করিতে পারিলে অত্যন্ত মুখী হইব, আমরা এরূপই ভাবিয়া থাকি। কিন্তু সময়ে এ বিষয়ও স্মরণ করিয়া আমরা হাস্ত করিব। অতএব, যদি আমাদের বর্তমান অবস্থ সংও নয়, অসৎও নয়—কিন্তু উভয়ের সংমিশ্রণ, অস্থখও নয়, মুখও নয়—কিন্তু উভয়ের সংমিশ্রণ, এইরূপ বিষমবিরুদ্ধভাবাপন্ন হইল, তবে বেদান্তের আবশ্বকতা কি ? অন্তান্ত দর্শনশাস্ত্র ও ধৰ্ম্মমত । সকলেরই বা আবশ্বকতা কি ? বিশেষতঃ, শুভকৰ্ম্মাদি করিবারই বা প্রয়োজন কি ? এই প্রশ্ন মনে উদয় হয়, কারণ, লোকে ইহাই জিজ্ঞাসা করিবে, যদি শুভকৰ্ম্ম সম্পাদনে যত্নবান হইলে সেই একই অমঙ্গল বর্তমান থাকে এবং মুখোৎপাদনে যত্নবান হইলে পৰ্ব্বতসদৃশ অমুখরাশি উপস্থিত হয়, তাহ হইলে এ সকলের আবগুকত কি ? ইহার উত্তরে বলা যায়—প্রথমতঃ, দুঃখমোচনের । উদ্দেশ্বে তোমাকে কৰ্ম্ম করিতে হইবে ; কারণ, স্বয়ং সুখী হইবার ইহাই একমাত্র উপায়। আমরা প্রত্যেকে স্ব স্ব জীবনে, শীঘ্র বা । বিলম্বে হউক, ইহার যথার্থতা বুঝিয়া থাকি। তীক্ষবুদ্ধি লোকে কিছু সত্বরে, মলিনবুদ্ধি কিছু বিলম্বে ইহা বুঝিতে পারেন। মলিনবুদ্ধি লোক উৎকট যন্ত্রণ ভোগ করিয়া, তীক্ষবুদ্ধি অল্প যন্ত্রণ পাইয়া ইহা আবিষ্কার করেন। দ্বিতীয়তঃ, ইহা ন হইলেও, ধদিও আমরা জানি, এ জগৎ কেবল মুখপূর্ণ হইবে, দুঃখ থাকিবে ন— এরূপ সময় কখনই আসিবে না, তথাপি আমাদিগকে এই কাৰ্য্যই २१ .
