পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । মানবাত্মার উপভোগ্য সৰ্ব্ববিধ মুখ—সমস্তই মিথ্যা—সকলই মায়াধীন। সকলই এই সংসারপাশের অন্তর্গত, আমরা উহাকে অতিক্রম করিতে পারি না। আমরা উহার মধ্য দিয়া অনন্ত কাল ধাবিত হইতে পারি, কিন্তু শেষ পাইব না ; এবং যখনই মুখকণা পাইবার জন্ত চেষ্টা করিব, তখনই স্থঃথরাশি আমাদিগকে চাপিয়া ধরিবে । ইহা কি ভয়ানক অবস্থা! যখন আমি ইহা ভাবিতে চেষ্টা করি,আমার নিঃসংশয় অনুভূতি হয়, এই মায়াবাদ—সকলই মায়া—এই বাক্যই ইহার একমাত্র সমীচীন ব্যাখ্যা। এ সংসারে কি দুঃখরাশিই বৰ্ত্তমান রহিয়াছে ! যদি আপনার বিবিধ জাতিদিগের মধ্যে পরিভ্রমণ করেন, আপনারা বুঝিতে পরিবেন যে, একজাতি তাহার দোষভাগ এক উপায়ে প্রতিকার করিতে চেষ্টা করিয়াছে, অপরে স্বতন্ত্র উপায় অবলম্বন করিয়াছে। সেই একই দোষ বিভিন্ন জাতি বিভিন্ন উপায়ে প্রতিরোধ করিতে চেষ্ট পাইয়াছে, কিন্তু কেহই কৃতকাৰ্য্য হইতে পারে নাই। যদ্যপি ইহাকে ক্রমশঃ স্বল্প করিয়া একাংশে নিবদ্ধ করা যায়, অপরাংশে রাশি রাশি অশুভ সঞ্চিত হইতে থাকে। ইহার এইরূপই গতি। হিন্দুগণ জাতীয় জীবনে কথঞ্চিৎ সতীত্বধৰ্ম্ম উৎপাদনার্থ, তাহদের সন্তানগণকে এবং ক্রমে সমগ্র জাতিকে, বাল্যবিবাহ দ্বারা অধোগামী করিয়াছেন । কিন্তু এ কথাও আমি অস্বীকার করিতে পারি না যে, বাল্যবিবাহ হিন্দু জাতিকে সতীত্বধৰ্ম্মে ভূষিত করিয়াছে। তুমি কি ইচ্ছা কর ? যদ্যপি জাতিকে সতীত্বধৰ্ম্মে সমধিক ভূষিত করিতে চাও, তাহ হইলে এই ভয়ানক বাল্যবিবাহ দ্বারা সমস্ত স্ত্রী পুরুষকে শরীরসম্বন্ধে অধোগামী করিতে হইবে। অপরদিকে ভূমিও কি নিজ - Chè -