পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মার মুক্তস্বভাব । এক্ষণে কোন রূপে সেই মুক্ত স্বভাব হারাইয়া বদ্ধ হইয়াছ, তাহ চুইলে প্রমাণিত হইতেছে, তোমরা প্রথম হইতেই মুক্ত ছিলে না । যদি মুক্ত ছিলে, তবে কিসে তোমায় বদ্ধ করিল ? যে স্বতন্ত্র, সে কখন পরতন্ত্র হইতে পারে না ; যদি হয়, তবে প্রমাণিত হইল, উহ্য কখন স্বতন্ত্র ছিল না—এই স্বাতন্ত্র্যপ্রতীতিই ভ্রম ছিল। এক্ষণে এই দুই পক্ষের কোন পক্ষ গ্রহণ করিবে ? উভয় পক্ষের যুক্তিপরম্পর বিবৃত করিলে এইরূপ দাড়ায়। যদি বল; আত্মা স্বভাবতঃ শুদ্ধস্বরূপ ও মুক্ত, তবে অবগুই সিদ্ধান্ত করিতে হইবে, জগতে এমন কিছুই নাই, যাহা উহাকে বদ্ধ করিতে পারে। কিন্তু যদি জগতে এমন কিছু থাকে, যাহাতে উহাকে বদ্ধ করিতে পারে, তবে অবশু বলিতে হইবে, আত্মা মুক্তস্বভাব ছিলেন না, সুতরাং তুমি যে উহাকে মুক্তস্বভাব বলিয়াছিলে, সে তোমার প্রমমত্র। অতএব অবশুই তোমাকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে হইবে যে, আত্মা স্বভাবতঃই মুক্ত-স্বরূপ। অন্তরূপ হইতেই পারে না। মুক্তস্বভাবের অর্থ-বাহ সকল বস্তুর অনধীনতা-অৰ্থাৎ, উহা ব্যতীত অন্য কোন বস্তুই উহার উপর হেতুরূপে কোন কাৰ্য্য করিতে পারে না। আত্মা কাৰ্য্যকারণসম্বন্ধের অতীত, ইহা হইতেই আত্মা সম্বন্ধে আমাদের উচ্চ উচ্চ ধারণা সকল আলির থাকে। আত্মার অমরত্বের কোন ধারণাই স্থাপন করা যাইতে পারে না, যদি না স্বীকার করা যায় যে, আত্মা স্বভাবতঃ মুক্ত অর্থাৎ বাহিরের কোন বস্তুই উহার উপর কার্য্য করিতে পারে না। কারণ, মৃত্যু আমার বহিঃস্থ কোন কিছুর দ্বারা কৃত কাৰ্য্য। ইহাতে বুঝাইতেছে যে, আমার শরীরের উপর বহিঃস্থ অপর రిషిd: